খুলনা সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার ও জেলা পরিষদের ঠিকাদারের ইজারাদারের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায় খুলনা জেলা পরিষদ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন আলাদা আলাদা ভাবে এই খেয়াঘাটের দরপত্র আহ্বান করে। এরপর থেকেই এই দুইটা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আভ্যন্তরিন কোন্দল প্রকাশ্যে আসলে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
উচ্চ আদালতের আদেশে খুলনা জেলা পরিষদকে ঘাট ইজারা দেওয়ার বৈধতা দিলে উভয়পক্ষ বসে দু-তিন দিন আগে খেয়াঘাট জেলা পরিষদের তা সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
গতকাল ১লা বৈশাখ সকাল থেকে দৌলতপুর বাজার পাড়ে জেলা পরিষদ থেকে নির্বাচিত ইজারাদার সুজন টোল আদায় করতে থাকে অপরদিকে দিঘলিয়ার দেয়াড়া প্রান্তে খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্বাচিত ইজারাদার টোল আদায় করতে থাকে। এই খেয়াঘাট অত্যন্ত জনবহুল হওয়ায় প্রতিটা মানুষকে তিনগুণ টোল দিতে হয়েছে। একপর্যায়ে সাধারণ মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে গেলে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সাধারণ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাটটি এক সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নিয়ন্ত্রণ করত। পরবর্তীতে জেলা পরিষদ এ ঘাট ইজারা দিয়ে আসছিল। এদিকে দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাটের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খুলনা জেলা পরিষদ ও খুলনা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা সিটি করপোরেশন উক্ত ঘাটটি এ বছর ডাকে মেসার্স মোড়ল এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ হায়দার মোড়ল। সেই মোতাবেক টোল আদায় করতে ঘাটে গেলে হায়দার মোড়লের সাথে জনৈক সুজনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
অপরদিকে জেলা পরিষদ থেকে ইজারা পাওয়া সুজন জানায় উচ্চ আদালতের আদেশ মেনে আমরা বৈধভাবে টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বাংলা বছরের প্রথম দিনটি ছিল সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের। হাজার হাজার ভুক্তভোগী মানুষ এই জন-দুর্ভোগের তীব্র নিন্দা জানান।