জি এম রিয়াজুল আকবরঃ খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকে বাদামী গাছ ফড়িং ও ক্যারেন্ট পোকা আক্রমণের সচেতনা প্রচার চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনভর বাগালী ইউনিয়ন উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল – মাহফুজ বাগালী ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার, এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাদামী গাছ ফড়িং ও ক্যারেন্ট পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষকদের সচেতনতার উপর গুরুত্ব দেন।
এসময় তিনি প্রচারে মাইকে বলেন, সুপ্রিয় কৃষক কৃষাণীবৃন্দ আপনাদের জমিতে এ সময় বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট প্রকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে এ অবস্থায় আক্রান্ত জমির পানি সরিয়ে সাত থেকে আট দিন জমি শুকনো রাখতে হবে এবং আক্রান্ত জমিতে দুই থেকে তিন হাত দূরে দূরে বিলিকেট সূর্যের আলো ও বাদাম চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত খেত পরিদর্শন করতে হবে অন্যথায় সরকার অনুমোদিত কীটনাশক উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে গাছের গোড়ায় বিকেলে প্রয়োগ করতে হবে।
বাগালী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, আমার আমন ধানের জমিতে ক্যারেন্ট পোকা লাগছিলো। পরবর্তীতে আমি বাগালী ইউনিয়ন পরিষদে যেয়ে কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মাহফুজ স্যারের পরমর্শে জমিতে কীটনাশক ব্যাবহার করি, এখন আপাতত ভালো আছে।
বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, এসময় ধানে ক্যারেন্ট পোকা লাগে। এবছর মাইকে প্রচার করছে এতে কৃষকরা আরও সচেতন হবে, এবং দ্রুত কৃষি অফিসের পরমর্শে কীটনাশক ব্যাবহার করে পোকা আক্রমণের হাত থেকে ফসল রক্ষা পাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দল্যাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান বর্তমান আবহাওয়ায় বাদামী ঘাস ফড়িং এর জন্য উপযোগী। কিছু জমিতে এর উপদ্রপ ছিল। আমরা সরজমিনে পরিদর্শনপূর্বক কৃষকদের কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করছি। বর্তমানে কারেন্ট পোকা নিয়ন্ত্রণে আছে। এছাড়া কৃষককে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলেট, মসজিদ, মন্দিরে প্রচার কাজ চলমান।আমরা আশা করছি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে।