নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনার তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকসহ বিভিন্ন ভাতাভোগী ব্যক্তিদের মুঠোফোনে কল করে টাকা দাবি করছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভুগিরা।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিভিন্ন ভাতাভোগীদের মুঠোফোনে কল করে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, পুলিশ পরিচয়ে টাকা দাবি করে আসছে প্রতারক চক্রটি । তারা বিভিন্ন বিষয়ে তদন্তের কথা বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। এঘটনায় তেরখাদা থানায় অভিযোগ করেছেন কয়েকজন। অবিলম্বে প্রতারক চক্রটি শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি ভুক্তভোগীদের।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ইখড়ি দাখিল মাদরাসার সুপার মাওঃ মাহবুবুর রহমান কে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি পরিচয়ে ফোন করে বিকাশে টাকা পাঠানোর দাবি করে। এর আগে সরকারি ইখড়ি কাটেংগা হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে দুদক কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে। আটলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওঃ কবিরুল ইসলামকে ফোন করে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে চক্রটি। এ এফ এম আব্দুল জলিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ শাহজাহান আলীকে থানার ওসি পরিচয়ে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। আনন্দনগর নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওঃ আব্দুর রহিমকে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি পরিচয়ে মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদকে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার পরিচয়ে মোবাইল ফোনে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়াও ভাতাভোগীদের বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে সমাজ সেবা অফিসের নাম বলে, ভয় দেখিয়ে বা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নগদের পিন নম্বর ও মোবাইলে যাওয়া ওটিপি নম্বর নিয়ে নগদে ভাতার টাকা তুলে নিচ্ছেন এই চক্রটি।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এগুলো অবাস্তব নাম্বার, প্রতারক চক্রের সদস্যদের আটক করার চেষ্টা করছি।