নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন।
সোমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে তিনি ৯৪ হাজার ভোটে হারান ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়ালকে। এনিয়ে তিনি তৃতীয়বার এই নগরীর মেয়র হচ্ছেন।
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতির মধ্যে নিরুত্তাপ প্রচারের পর গোলযোগহীনভাবেই এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়।
খুলনায় ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের সবক’টিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়। বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষের ছয় ঘণ্টার মধ্যে খুলনা নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে সমন্বিত ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার খালেক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪টি।
খুলনায় মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পাটি, লাঙ্গল), এস এম শফিকুর রহমান (স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি), এস এম সাব্বির হোসেন (জাকের পার্টি, গোলাপ ফুল)।
খুলনা সিটিতে এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন; নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
মেয়র পদে ৫ জন ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
খুলনায় গোলযোগ না হলেও ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী আউয়াল ইভিএম নিয়ে সন্দেহের কথা জানান। তিনি বলেন, নৌকায় পড়ার অভিযোগ করেছেন।
প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন এই নির্বাচনে ৪৫-৫০ শতাংশের মতো ভোটগ্রহণ হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনের ধারণা। গোলযোগ ছাড়া ভোটগ্রহণ হওয়ায় সন্তোষ জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান ভোট শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “বরিশালের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া খুব সুন্দর ভোট হয়েছে।”
এদিনে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভোটগ্রহণ হয়; সেখানে হামলার শিকার হন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীম।
সেই ঘটনার জেরে ইসলামী আন্দোলন বরিশাল ও খুলনায় ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই সঙ্গে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।