জি এম রিয়াজুল আকবরঃ কয়রা উপজেলায় আমন ধান পরিচর্যায় ও সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা।
কেউ জমিতে সার প্রোয়োগ করছে,কেউ কিটনাশক দিচ্ছে, কেউ কেউ ধান ক্ষেত পরিচর্যা করছে। শ্রমিকের দাম বৃদ্ধিতে বেশিভাগ কৃষকরা নিজেরা মাঠে দীন রাত পরিশ্রম করেছে।
কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত আমন ক্ষেতে সময় দিচ্ছেন তারা। রোপাআমন ধানের চারা রোপনের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ করেছে কৃষকরা। মাঠের পর মাঠ, যে দিকে চোখ যায়, সে দিকে দেখা যাচ্ছে কচি সবুজ, উঠতি বয়সেরআমন ধানের চারা। কৃষকরা আমন ধান পরিচর্যা করছে আবার অনেকে দূর থেকে তাকিয়ে সোনালী ফসল দেখছে।
সরেজমিনে, উপজেলার বিভিন্ন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা কেউ সার-কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, কেউবা আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার জমিতে পানি সেচের কাজে ব্যস্ত। এই দৃশ্য দেখে মনে হলো, কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল ভালোভাবে ফলাতে দম ফেলানোর সময় নেই কৃষকদের।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূএে জানাগেছে, চলতি আমন মৌসূমে , ১৬ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ রোপা সম্পন্ন হয়েছে।
বামিয়া গ্রামের কৃষক আবুল হাসান গাজী বলেন, আমি এবছর ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান ২৩ রোপন করেছি, ধান পরিচর্যা ও সারপ্রয়োগ প্রথম পর্যায়ায় শেষ করেছি, প্রথমে পোকা লাগছিলো কৃষি অফিসারের পরমর্শে কীর্টনাশক প্রয়োগ করেছি, এখন আপাতত ফসল ভালো আছে। বিঘা প্রতি ২২ মন ধান হবে বলে আশা করছি।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আবু হানিফ বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি, শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় ধান রোপনের পর থেকে কাক ডাক ভোরের আগে উঠে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলের মাঠে পরিশ্রম করেছি। ধানের পোকার আক্রমণ হয়েছিলো ঔষধ প্রয়োগ করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান অনান্য বছরের চেয়ে এ বছর আমন আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। কৃষকরা ধান পরিচর্যায় ব্যাস্থ আছে। যাতে ধানের ফলন ভালো আসে সেদিকে কৃষকদের কৃষি বিভাগ প্রয়োজনিয় পরমর্শ প্রদান করছে।