শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত জবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে খুবি উপাচার্যের অভিনন্দন সবার মাঝে দেশের উন্নয়নে কাজ করার মানসিকতা থাকা দরকার- মোংলায় সিটি মেয়র খুলনা-৫ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা ডুমুরিয়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ ধান বিতরণ খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রশীদুজ্জামানের মনোনয়ন জমা খুলনা-৫ আসনে আ.লীগ মনোনিত প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা প্রদান খুলন-৬ আসনে(কয়রা-পাইকগাছা) ১৩ দফা অ‌ঙ্গিকার নি‌য়ে নির্বাচনী মা‌ঠে নেওয়াজ মোর‌শেদ ডুমুরিয়ার থুকড়া ইয়ং বয়েজ ক্লাব কে ডা.দীন মোহাম্মদ খোকার জার্সি প্রদান চন্ডিপুরে দুর্যোগ ঝুকি হ্রাস অগ্রগতি মূল্যায়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

খুবিতে ইনোভেশন হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৬২ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

খুলনা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব-স্মার্ট ইউনিবেটরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ ১৮ অক্টোবর (বুধবার) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে এ ইনোভেশন হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

পরে একই স্থানে আয়োজিত দ্বিতীয় অংশের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ইনোভেশন হাবের নামফলক উন্মোচন এবং বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, তাতে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর এটি গড়ে তুলতে প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। সময়ের সাথে অনেক প্রযুক্তি সামনে এসেছে, এগুলোর সাথে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের যে বিপুল জনশক্তি রয়েছে, তা দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আমরা কীভাবে গড়ে তুলবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা মানি আর না মানি পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবর্তন হবে। এর সাথে আমরা মানিয়ে নিতে না পারলে পিছিয়ে পড়বো। তিনি বলেন, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে ১০ লাখ গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে। তাদের সাথে ১০ লাখ আইডিয়াও বের হচ্ছে। এই আইডিয়া কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবে এর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। এই আইডিয়া প্রাকটিক্যালভাবে জেনারেট করতে যে পরিবেশ ও ইকোসিস্টেম প্রয়োজন তা পাওয়া যাবে ইনোভেশন হাবে।

স্কাইপির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব তাদের রিসার্চ ফাইন্ডিংস বা থিসিস নিয়ে আসছে মানুষের কল্যাণের জন্য। অথচ আমরা আমাদের রিসার্চ ফাইন্ডিংস বা থিসিস নিয়ে বেশি এগোতে পারি না। বাঙালিদের মধ্যে যে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্ম যে সমস্ত গবেষণা করে তাদের প্রজেক্টের পর থেকে সেই গবেষণাগুলো কাগজ-কলমে পাবলিকেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জনগণের কল্যাণে যদি নিয়ে আসতে পারি তা হবে একেবারেই যথার্থ।

উপাচার্য বলেন, ইনোভেশন হাব সবার জন্য। আইডিয়া জেনারেট করার জন্য একসময় শুধু বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় নিয়ে ভাবা হতো। কিন্তু এখন এর সাথে কলা ও মানবিক এসেছে। শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথমেটিক্স এবং টেকনোলজি দিয়ে হবে না। এখন আইডিয়া জেনারেট করতে দর্শন ও মানবিকতার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইনোভেশন হাব স্থাপন অত্যন্ত কার্যকর হবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মাল্টি ডিসিপ্লিনারি যে গ্রাজুয়েটরা রয়েছেন তাদের লেখাপড়ার ব্যপ্তি, দর্শন সম্মিলিতভাবে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের নতুন নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে।

উপাচার্য বলেন, আজকে আমরা যখন প্রযুক্তির কথা বলি এক নিমিষেই জাপান-জার্মানির প্রসঙ্গ উঠে আসে। কিন্তু আগামী কয়েক বছরে জাপান এরকম আর থাকবে না। অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির দিক দিয়ে তারা পিছিয়ে পড়বে। কারণ, তাদের জনশক্তির গ্রোথ নেগেটিভ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। আজকে আমাদের যে জনশক্তি রয়েছে তা দক্ষ ও দেশপ্রেমিক মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সুনির্দিষ্ট পথে এগোনোর জন্য যে কম্পোনেন্ট ও কম্বিনিশেন প্রয়োজন তা আমরা এই ইনোভেশন হাবে পাচ্ছি। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন ইনোভেশন হাবের ফোকাল পারসন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ। প্রকল্পের পরিচিতিসহ হাবের সার্বিক উদ্দেশ্য তুলে ধরেন উক্ত প্রকল্পের ট্রেনিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট স্বাতী শারমিন। সম্ভাবনাময়ী উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টার্টআপ খুলনার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মেহেদী হাসান। সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর সেহরীশ খান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এ অঞ্চলের তরুণ উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন : ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ

বর্তমান ভিজিটর

Total Visitors
2495085
232
Visitors Today
172
Live visitors
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি রাইট বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Hwowlljksf788wf-Iu