এ সময় লুট হওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুমুরিয়া থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বিপিএম এ তথ্য জানান।
জেলা পুলিশ সুপার এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন জেলায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির সক্রীয় আট সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃকরা হলো সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার ধূলহর গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেন ( ৩৫ ),ওই জেলার পাটকেল ঘাটা এলাকার চৌগাছা গ্রামের শেখ পলাশ আহম্মেদ ( ৪৫ ),ডুমুরিয়া থানার গুটুদিয়া গ্রামের শেখ আরিফুল ইসলাম ( ৩৪ ),যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার মধুখালী গ্রামের মোঃ রমজান আলী মনা ( ৫১ ),সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার রাধারআটি গ্রামের মোঃ সুমন মিস্ত্রী ( ৩০ ),ওই থানার জেটুয়া গ্রামের মোঃ জিয়াউর আকুঞ্জি ওরফে জিয়া ( ৪০ ), যশোর জেলার বেনাপোল থানার কামেড়া গ্রামের মোঃ শরিফুল ইসলাম ( ৪৬ ) এবং বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেন ( ৩৩ ) কে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামীদের প্রাথমিক এবং পুলিশ হেফাজতে ( রিমান্ড ) নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ঘটনায় লুন্ঠিত একজোড়া স্বর্ণের রুলি (বালা) ,চারটি স্বর্ণের আংটি , একজোড়া রৌপ্যের পায়ের নুপুর , একজোড়া রৌপ্যের চুড়ি , একটি স্বর্ণের চুড়ি ও একটি স্বর্ণের চেইন ‘ সহ সর্বমোট ৩ ভরি ১আনা ওজনের স্বর্ণালংকার ও প্রায় ৩ ভরি রৌপ্যের অলংকার , ১ টি বাজাজ ডিসকভার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় ।
এছাড়া মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চেসিস নং পাঞ্চ করার সরঞ্জাম এবং চুরির ঘটনায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত আসামীদের ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় ।
উল্লেখ্য যে , চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন জেলায় এধরনের অপরাধ সংঘটন করেছে মর্মে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিং কালে থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ কনি মিয়া(বিপিএম)অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত)মুক্ত রায় চৌধুরীসহ থানার অন্যান্ন পুলিশ সদস্যরা উপস্হিত ছিলেন।