নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনার মহানগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার যুবক আল আমিন হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ২৪নং ওয়ার্ডের আলোচিত সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডনকে প্রধান আসামি করে আরও ৯জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নিহতের পিতা মো. জাহাঙ্গীর শেখ বাদী হয়ে খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. আনিছুর রহমান সম্পুরক এজাহারটি গ্রহণ করে মূল এজাহারের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিপক্ষের আইনজীবী খান মো. লিয়াকত আলী।
সম্পূরক হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিরা হচ্ছে- হরিণটানা তোতার ব্রীজ মজিদ মিয়ার বাড়ীর পাশ এলাকার ছাত্তার গাজীর ছেলে নজরুল ওরফে ছাগল নজরুল, বানিয়াখামার মিস্ত্রিপাড়া কাঁচাবাজার এলাকার মৃত শামসু মিয়ার ছেলে মেহেদী (৫৪), নগরীর দোলখোলা ইসলামপুর মোড় এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দেলো (৪৯), ও তার ভাই একই এলাকার চিহ্নিত মাদক ডিলার ও অবৈধ অস্ত্র বিক্রেতা মোজাহার হোসেন মোজা (৫২), বানিয়াখামার মেইন রোড এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে লাবু ওরফে সুদে লাবু (৫২), রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের নৈহাটী কাঞ্চন নগর এলাকার ইদ্রিস শেখের ছেলে রিয়াজুলের সহযোগী সন্ত্রাসী রাসেল শেখ (৩৩), নগরীর বাগমারা এলাকার মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম মোল্লা ও ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙা গ্রামের শহিদ মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা (২৭)।
এর আগে গত ৯ জুলাই খুলনা থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হচ্ছে- নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার চৌধুরী গলি বুড়ীর বাগান এলাকার মৃত সেকেন্দার শেখের ছেলে রোহান হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের হোতা মিরাজ শেখ ওরফে ইয়াবা মিরাজ (৩৮), মিস্ত্রিপাড়া টাওয়ার গলির মাথা এলাকার মৃত বাবুল মাতুব্বরের ছেলে রোহান হত্যা মামলার আসামী ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের হোতা মাদক ব্যবসায়ী রিয়াজুল ওরফে খুনে রিয়াজুল (৩৫), বাগমারা ঈদগাহ লেন এলাকার মৃত মালেকের ছেলে চান্দু ওরফে পিস্তল চান্দু (৪৫), পূর্ব বানিয়াখামার চৌধুরী গলি বুড়ীর বাগান এলাকার মৃত কাশেম আলী’র ছেলে মো. হেলাল ওরফে চোর হেলাল (২৭), বানিয়াখামার লোহার গেট আহাদের গলি এলাকার নাছিরের ছেলে এক সময়ের একাধিক হত্যা মামলার আসামী তরিক ওরফে কিলার তরিক (৪৫), পূর্ব বানিয়াখামার লোহারগেট, খাদেমুল উলুম মাদ্রাসা এলাকার ইউনুসের ছেলে আতা (২৬), পূর্ব বানিয়াখামার লোহার গেট, নবম গলি এলাকার করিমের ছেলে শাহ আলম (৪৫), লবনচোরা হরিণটানা মধ্যপাড়া কাটাখালি মসজিদ রোড এলাকার শহিদুল ইসলাম লিটনের ছেলে মো. নাদিম ওরফে নাদিম কাটারি (৩০)।
এদিকে, আলামিন হত্যাকান্ডের পর থেকে এখনও পর্যন্ত পরিবার স্বজন হারানোর ব্যথায় ব্যথিত। অন্যদিকে, আসামি ও তাদের সহযোগিদের হুমকিতে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। যে কোন মুহুর্তে হত্যাকারীদের দ্বারা ক্ষতির আশংকা করছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই রাতে ডনের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা বাদীর দুই ছেলে আলামিন ও তৌহিদকে ধরে পূর্ব বানিয়াখামার লোহার গেট সংলগ্ন মামুনের রিকশার গ্যারেজের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে চাপাতি, রাম-দা, লোহার রড দিয়ে আলামিন শেখকে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।