খুলনা প্রতিনিধিঃ ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসম্পৃক্তকরণ’ বিষয়ে অবহিতকরণ সভা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে খুলনার গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ।
ইউনিসেফের সহযোগিতায় খুলনা জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিচালক বলেন, ডেঙ্গুতে আতংক নয়, সচেতনতা প্রয়োজন। মশা যে কোন সময়ে কামড়াতে পারে। বাড়ির আঙ্গিনা, অফিস চত্ত্বর, ফুলের টব ও সকল স্কুল-কলেজের আশপাশ পরিস্কার করলে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এজন্য জনগণের মধ্যে বেশি সচেতনতা তৈরি করতে হবে। নিজেদের সমস্যা নিজেদেরকেই সমাধান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জ¦র আসলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই। সব জ¦রেই ডেঙ্গু হয় না। ডেঙ্গু জ¦র পরীক্ষা করা জন্য সরকারি হাসপাতালে ৫০ টাকা ফ্রি নির্ধারণ করেছে সরকার। খুলনাকে ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংস্থাসহ সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
খুলনা জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা ইউনিসেফের চীফ মো: কাওছার হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও ইউনিসেফের ফিল্ড অফিসার সুফিয়া আক্তার। সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এএসএম নাজমুল আহসান। অনুষ্ঠানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান, ঢাকা ইউনিসেফের এসবিসি এর কনসালটেন্ট রেজওয়ান নবীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় জানানো হয়, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলাতেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। খুলনার ডেঙ্গু রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরের পাশাপাশি এরোগ গ্রামেও দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু হলে এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করা যাবে না। জ¦র হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। পুরুষের পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগে শিশু ও নারীরা বেশি ঝুঁকিতে এবং বেশি মৃত্যুবরণ করছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা, এনজিও প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।