শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত জবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে খুবি উপাচার্যের অভিনন্দন সবার মাঝে দেশের উন্নয়নে কাজ করার মানসিকতা থাকা দরকার- মোংলায় সিটি মেয়র খুলনা-৫ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা ডুমুরিয়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ ধান বিতরণ খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রশীদুজ্জামানের মনোনয়ন জমা খুলনা-৫ আসনে আ.লীগ মনোনিত প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা প্রদান খুলন-৬ আসনে(কয়রা-পাইকগাছা) ১৩ দফা অ‌ঙ্গিকার নি‌য়ে নির্বাচনী মা‌ঠে নেওয়াজ মোর‌শেদ ডুমুরিয়ার থুকড়া ইয়ং বয়েজ ক্লাব কে ডা.দীন মোহাম্মদ খোকার জার্সি প্রদান চন্ডিপুরে দুর্যোগ ঝুকি হ্রাস অগ্রগতি মূল্যায়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

খুলনায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Reporter Name
  • আপডেট টাইম বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৪৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

খুলনা প্রতিনিধিঃ ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের করণীয় এবং নীরব এলাকা বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ বিষয়ক এক কর্মশালা আজ (বুধবার) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ ফিরোজ শাহ। খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সম্বন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। মানুষের সচেতনতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমাদের চারপাশে থাকা বিভিন্ন উৎস হতে অনেক সময় উচ্চমাত্রার শব্দ উৎপন্ন হয়। এমনকি হাতে থাকা মোবাইল ফোনের উচ্চশব্দের রিংটোনের শব্দও আমাদের শ্রুতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য মতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ মানুষ শব্দদূষণের শিকার। মানবদেহের ৩০টি কঠিন রোগের অন্যতম কারণ শব্দদূষণ। ৫০ ডেসিবলের চেয়ে উচ্চ শব্দ মানবদেহে উচ্চ রক্তচাপ, ৬৫ ডেসিবলের চেয়ে উচ্চ শব্দ হৃদরোগ সৃষ্টিকারী, ৯০ ডেসিবলের বেশি উচ্চ শব্দ স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর এবং ১২০ ডেসিবলের চেয়ে উচ্চ শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তি পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি গর্ভবতী নারী শব্দদূষণের মধ্যে থাকলে বধির সন্তানের জন্ম হতে পারে। এছাড়া শব্দদূষণের কারণে মাথাধরা, আতঙ্ক-অবসাদগ্রস্ত হওয়া, অনিদ্রা ও শিশুদের মেধার বিকাশ ব্যাহত হয়। শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী নীরব ঘোষিত এলাকায় সর্বোচ্চ ৫০ ডেসিবল, আবাসিক এলাকায় ৫৫ ডেসিবল, বাণিজ্যিক এলাকায় ৭০ ডেসিবল ও শিল্প এলাকায় সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবলের বেশি মাত্রার শব্দ সৃষ্টির সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০১৭ সালের জরিপে খুলনা শহরের কিছু স্থানে শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা ১৩২ ডেসিবল পর্যন্ত শনাক্ত করা হয়েছে। শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী নীরব ঘোষিত এলাকায় হর্ন বাজানো দন্ডনীয় অপরাধ। আবাসিক এলাকার পাঁচশত মিটারের মধ্যে শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। তবে গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘন্টা মানমাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। অনুমতি ব্যতীত শব্দ সৃষ্টি করলে প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে একমাস কারাদন্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং পরবর্তীতে প্রতিবার অপরাধের জন্য ছয় মাস কারাদন্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড আরোপ করা যেতে পারে।

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ কাজী আবু রাশেদ। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)’র প্যানেল মেয়র-২ মোঃ আলী আকবর টিপু, সিনিয়র সাংবাদিক মো: মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এসএম জাহিদ হোসেন, কেসিসি কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, মসজিদের ইমাম ও গণপরিবহনের চালকরা অংশ গ্রহণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন : ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ

বর্তমান ভিজিটর

Total Visitors
2494953
100
Visitors Today
193
Live visitors
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি রাইট বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Hwowlljksf788wf-Iu