মোঃ রমজান হোসেন গাজীপুর থেকেঃ গাজীপুর কোনাবাড়ি (এন এ টেক্স) সোয়েটার কোম্পানিতে কাজ করেও শ্রমিকরা পাইনি কোন মুজুরি। ২০ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার সকালে ঐ ফ্যাক্টরির শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এতে মালিকের ভাড়াটে গুন্ডার লাঠিপেটার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে আহত হয়েছেন ১০ জন শ্রমিক।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মুজিরি না দিয়ে ঐ ফ্যক্টরির মালিক মোঃ আশরাফুর রহমান (বাবু) ফ্যক্টরি হঠাৎ করেই রাতারাতির মধ্যেই বন্ধ করে দেয়। পরের দিন সকালে শ্রমিকেরা অফিসে গেলে ঐ কোম্পানির গেটে তালা দেখতে পায়। শ্রমিকেরা তখন ঐ কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সিরাজুল ইসলাম (নিজাম) ও প্রোডাকশন ম্যানেজার মোঃ মামুনুর রশীদ (মামুন) এর সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, মালিক পক্ষ ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছে, তোমরা এক মাস পরে এসো, তোমাদের মুজুরি দিয়ে দিবো।
এক মাস পরে শ্রমিকেরা টাকার জন্য গেলে কোন টাকা দেয়নি মালিক পক্ষ। এভাবেই একের পর এক তারিখ করতে থাকেন কোম্পানির উপর মহলের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে (এন এ টেক্স) সোয়েটার কোম্পানির সুপারভাইজার এমদাদুল হক ও সাকিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে প্রায় ১০০-১২০ শ্রমিক কাজ করেন, হঠাৎ করেই রাতারাতি মধ্যে কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছিলেন, প্রায় দুই বছর পর কোম্পানি আবারও চালু করেন। তখন আবার ও শ্রমিকেরা মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এতে ঐ ফ্যাক্টরির মালিক আশরাফুর রহমান (বাবু) ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন শ্রমিকদের।
অসহায় শ্রমিকদের ন্যায্য টাকা আত্মসাৎ করেছেন ফ্যাক্টরির মালিক মোঃ আশরাফুল রহমান (বাবু)। এ বিষয়ে আশরাফুর রহমান (বাবু)র সাথে কথা বললে তিনি কোন মুখ খুলেননি, এবং সাংবাদিকদের সাথে রীতিমতো অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন তিনি। গাজীপুর কোনাবাড়ি এন এ টেক্স সোয়েটারের মালিক আশরাফুর রহমান (বাবু) এখন বিরাট বড় খল নায়ক
ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা ন্যায্য টাকা আদায়ের জন্য বিজিএমইসহ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।