আরিফুর রহমান মিসুক, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীতে এশিয়ান টিভির সদর প্রতিনিধি ও মানবজমিন পত্রিকার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি সুজন খন্দকারের উপর হামলা ও মাদকের উপর সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করায় তার বিরুদ্ধে সেই মাদক কারবারী পরিবারের মানববন্ধনের প্রতিবাদে ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় গোয়ালন্দ উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিত সাংবাদিক সুজন খন্দকার।
এসময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন গত ২ সেপ্টেম্বর এশিয়ান টেলিভিশন ও মানবজমিন পত্রিকায় আলাদা দুটি খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। “ধরাছোয়ার বাইরে দৌলতদিয়ার মাদকের গডফাদার সোহেল” শিরোনামে মানবজমিন পত্রিকায় ও “হাতুড়ে ডাক্তারের ছেলে কোটিপতি” শিরোনামে এশিয়ান টেলিভিশনে দুটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে অনেক মাদক কারবারির নাম এসেছে যাদের প্রত্যেকের প্রমান আমার কাছে রয়েছে। এই নিউজের বিরুদ্ধে শনিবার ৩ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন করে সেখানে তারা সাংবাদিকদের মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রদান করে।
এই মানববন্ধনে অনেক মাদক কারবারি অংশ গ্রহণ করে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করায়, আমার উপর হামলা হয়। ৫ দিন হাসপাতালে ছিলাম। হামলাকারী সোহেলের গ্রেফতার দাবী ও দ্রুত বিচারের দাবী করেন।
তিনি বলেন সরকার যেখানে মাদকের উপর জিরো টলারেন্স। মাদকের আতর ঘর খ্যাত দৌলতদিয়া সেখানে অবাধে চলে মাদক সেবন ও বেচাকেনা। পুলিশি অভিযানে সেবনকারী ও মাদক কারবারি আটক হলেও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার তারা মাদক ব্যাবসায় লিপ্ত হয়।
এর মধ্যে অন্যতম দৌলতদিয়ার (পল্লী চিকিৎসক) শহিদ ডাক্তারের ছেলে সোহেল ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে এর নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার মা একজন পতিতা ও পতিতালয়ের একজন বাড়ীওয়ালা এবং শহীদ ডাক্তারের তিন বউয়ের ঘরে চার ছেলে যারা মাদক কারবারি হিসাবে দুই একজন জেল খেটেছে এবং জেলে আছে।
সম্প্রতি ৭০২৫ পিচ ইয়াবাসহ তার বড় ভাই মনির রাজবাড়ী জেলা ডিবির হাতে ধরা পরে। তিনি বতমানে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে আছেন। এ ছাড়া তার আরেক ভাই ফারুক তার নামেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা আছে ও তার বাবা শহিদ ডাক্তারের নামেও মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সে বর্তমানে জামিনে রয়েছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন তার নামে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে কোন বাড়ি নেই। গত দুই বছর ধরে তিনি পুরোপুরি সাংবাদিকতা করেন এবং এর আগে ও মাদকের বিরুদ্ধে অনেক সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলে জানান।তিনি সঠিক তদন্ত করে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এই বিষয়ে সোহেলকে ফোন করলে ফোন নাম্বার বন্ধ পেয়েছি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় কোন মাদক মামলা নেই। তবে সোহেলের পরিবার মাদকের সাথে জড়িত। আমরা এখন পর্যন্ত সোহেলকে মাদকসহ পাইনি। তবে তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে এমন কিছু পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।