বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজে শিক্ষক কাউন্সিলের নির্বাচন সম্পন্ন খুলনায় অভিনব কায়দায় মাদক পরিবহন, ৩৯৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার-১ কয়রায় সাংবাদিকদের সাথে ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদের  মতবিনিময়  ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় মটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ফকিরহাটে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার ! নোয়াখালীর কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত আসামির ওপর হাজতির হামলা খুলনায় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে জাপা নেতা মোস্তফার মতবিনিময়   লবনাক্ত উপকূ‌লে ঘে‌রের পা‌ড়ে সব‌জি চা‌ষে সফলতা ফকিরহাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

জি ২০ সম্মেলন ।। আমাদের জ্বালানি খাত -বাহালুল আলম

Reporter Name
  • আপডেট টাইম বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২০১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জি-২০ হল একটি বহু পাক্ষিক ফোরাম যা ১৯ টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত অর্থনৈতিকভাবে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর জোট। এই  জোটেরমধ্যে ৬ টি এশীয় দেশ প্রতিনিধিত্ব করে আসছে, তারা হলো চায়না, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ভারত এবং সৌদিআরব। বিশ্বের অভ্যন্তরীন গড় উৎপাদন মূল্য (জিডিপি)র ৯০ শতাংশ এ দেশগুলোর হাতে এবং ৮০ শতাংশ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে।

১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটির মুখ্য উদ্দেশ্য হলো-  শিল্পোন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনেতিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করা। যার মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাত, কর কাঠামো, আন্তর্জাতিক আর্থিক খাতের সংস্কার ইত্যাদি। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়া দিল্লিতে দুই দিন ব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলেন শুরু হতে যাচ্ছে । প্রথা অনুযায়ী, এ সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ভারত, বেশ কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বিভিন্ন বৈঠক ও শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ বাংলাদেশ-কে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এবছর অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই আমন্ত্রণ বাংলাদেশের জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য অবশ্যই সম্মানের।  যেখানের মূল আলোচনার সম্ভাব্য বিষয় হলো, খাদ্য ও জ্বালানী নিরাপত্তা, আর্থিক ও প্রযুক্তিখাতে সহায়তা, জলাবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় অর্থায়ন, শুল্কমুক্ত বানিজ্য সুবিধা এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতি পূনরুদ্ধারে সহায়তা। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় করনীয়। আমাদের আকাংখা এই জি২০ সম্মেলনে আমাদের প্রয়োজনীয় বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের সুয়োগ করে দিবে।

আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে ঠিক-ই, পাশাপাশি দেনার দায়ে  ভারাক্রান্ত। বলা যেতে পারে, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) ভোলায় ২২০-মেগাওয়াট (MW) কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য ৬০ মিলিয়ন  ডলার বিনিয়োগ করেছে। প্রদান করবে। ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড, একটি ৫৮৪-মেগাওয়াট গ্যাস-ভিত্তিক কম্বাইন্ড-সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট ৪৬৩ মিলিয়ন ডলারের ঋণে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড বা বিসিপিসিএল পটুয়াখালীর পায়রায় একটি ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশল, সংগ্রহ এবং নির্মাণের জন্য একটি চীনা কনসোর্টিয়ামের সাথে ১.৫৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সামিট গ্রুপ ক্লিফোর্ড ক্যাপিটাল এবং জাপানের SMBC (সুমিতোমো মিৎসুই ব্যাংকিং কর্পোরেশন) জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক থেকে প্রকল্প অর্থায়নে ১৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সামিট-মিতসুবিশি এবং জিই-এর বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ জাইকা (জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা): USD ৩৬১৭.৩৪ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে।

উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্যতম নিয়ামক হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানীখাত।  বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০৪১ সালের মধ্যে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। যেখানে  ২০১৩ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিলো ১৩৯ কোটি ডলার, ২০২২ সালে সেটা ২০২২ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার।  আমরা সকলেই জানি, আমাদের দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৮২ শতাংশই গ্যাস,কয়লা ও ডিজেল ভিত্তিক এবং এর অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। এই গ্যাস যাদের কাছ থেকে আমদানী করতে হয়ে তার অধিকাংশই এই জি-২০ ভুক্ত দেশ সমূহ। তাই তাদের কাছে দাবি তোমরা গ্যাস কয়লা তেল ভিত্তিক জ্বালানীতে বিনিয়োগ না-করে, আমাদের জন্য সুবিধাজনক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নিয়োগ করো । আমাদেরকে আর দারিদ্রতার দিকে ঠেলে দিও না। আমাদের দেশকে আর ডলার সংকটের দিকে ঠেলে দিও না।  পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে কেন্দ্রভাড়া দিতে হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ১৫ বছরে ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এর মধ্যে এ বছরের প্রথম তিন মাসে বাড়ানো হয় তিনবার, ওদিকে বসে বসে কেন্দ্রভাড়া পাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে আমদানি করা ৭৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। স্পট মার্কেটে দাম বাড়ায় সেটির আমদানি সীমিত করেছে সরকার। আশংকার বিষয় হলো এ বছরই এলএনজি আমদানি করতে সরকারে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। যদিও পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর বেসরকারি খাতের চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষের দিকে রয়েছে, সে সব কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পেট্রোবাংলা। সেই গ্যাস কোথা থেকে আসবে সেটা পরিষ্কার নয়।

সময়মত গ্যাস সরবরাহ করতে না পারলে কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে সরকারকে। ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে ১০টি, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ১২৯০ মেগাওয়াট। এর বাইরে ৬৪টি কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। এসব জ্বালানির পুরোটাই আমদানি নির্ভর। ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পেছনে প্রতি ইউনিট উৎপাদনে ৩৬ দশমিক ৮৫ টাকা খরচ হলেও সরকার বিক্রি করে মাত্র ৫ দশমিক ০৫ টাকায়।

আমাদের দেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের ৮০ শতাংশ ব্যবসা বাণিজ্য এই জি-২০ ভুক্ত দেশ সমূহের সংগে, বিশেষত এশিয় অঞ্জলের ৬ টি দেশ যারা জি ২০ মধ্যে সম্পৃক্ত। শুধুমাত্র  এক আমেরিকাই আমাদের গ্যাসের ৪৫ শতাংশ আমেরিকান কোম্পানি শেভরন সরবরাহ করছে। আমদানিকৃত এলএনজিও আসছে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেটর এনার্জির মাধ্যমে। কোম্পানিটি পায়রায় আরও একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে। আমরা চাই না এই পরনির্ভরশীলতা। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) এখন দেশের অর্থনীতির গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে, যা সর্বজন স্বীকৃত। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির কাছে দেয়া এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায় ৯ মাসে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশকে দেয়ার উদ্দেশে ভারতের ঝাড়খণ্ডে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে আদানি গ্রুপ। সেখানের পরিবেশ এবং মানবাধিকার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা, আমাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি। জানাটা আমাদের অধিকার। আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি  বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কয়লা-ভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর চেয়ে ওখানে বেশি দাম ধরা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে নয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। আমরা বলে থাকি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের গড়ে সাড়ে সাত থেকে আট টাকা খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে যদি কেন্দ্র ভিত্তিক হিসাবের সাথে কুইক রেন্টাল যুক্ত করা হয় তাহলে কোনো কোনো কেন্দ্র থেকে সরকারকে প্রতি কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ কিনতে হয় ৬০০ টাকায়। দেশ এখন একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে বসিয়ে ভাড়া দেয়ায় অর্থনীতির বড় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯-১০ সালের বিদ্যুৎখাত এবং এখনকার বিদ্যুৎ খাত এক নয়। তখন জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভাড়াভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র গুলির সাথে চুক্তি করা হয়েছিলো। চুক্তিগুলো ছিলো তিন থেকে পাঁচ বছরের। কিন্তু এরপর এগুলোর সঙ্গে একই শর্তে কেন চুক্তি নবায়ন করা হলো তা আমাদের অনেকেরই অজানা।  বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটি চার্জ একটা স্বীকৃত পদ্ধতি। কিন্তু বাংলাদেশে যা হয়েছে তা সত্যিই আমাদের জন্য বুমেরাং। ক্যাপাসিটি চার্জ অনেক বেশি ধরা হয়েছে। অপ্রয়োজনে চুক্তি করা হয়েছে। বিশেষ করে কুইক রেন্টালের হিসেব তো যাচ্ছেতাই অবস্থা। তিনি বলেন,”বিদ্যুতের চাহিদাই সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে চাহিদার তুলনায় অকে বেশি পাওয়ার প্ল্যান্টের সাথে চুক্তি করা হয়েছে।

এবার মূল প্রসঙ্গ জ্বালানি ও বিদ্যুৎসংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে আসি। দেশে বর্তমান বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনার দিকে তাকালে দেখা যায় যে ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার জ্বালানি নীতি অনুসরণ করে গ্যাস, কয়লা, তেল ও ইউরেনিয়াম থেকে যথাক্রমে ৩৭, ৪০, ১০ ও ৩ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের উল্লেখ রয়েছে। একইভাবে ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে গ্যাস, কয়লা, তেল ও ইউরেনিয়াম থেকে যথাক্রমে ৪৩, ৩২, ২ ও ৭ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। সম্প্রতি আমাদের দেশের ক্ষ্যাতিমান অধ্যাপক ম. তামিম দেশের জ্বালানি খরচ নিয়ে একটি হিসাব উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি দেখান, বর্তমানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার লাগছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর শুধু জ্বালানি আমদানিতে ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে। এর মধ্যে ২৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানিতে লাগবে বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। বছরে ২ দশমিক ৫ কোটি টন কয়লা আনতে খরচ হবে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল এবং নিউক্লিয়ার জ্বালানি আমদানিতে লাগবে ৯ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ ও দেশে উত্তোলিত গ্যাস কিনতে বছরে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। পেট্রোবাংলা জানায়, জুলাই পর্যন্ত তাদের কাছে শেভরনের পাওনা ২৮ কোটি ডলার। এলএনজি আমদানি খাতে বকেয়া প্রায় ১০ কোটি ডলার। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সরকারের কাছে প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাবে। বিপিসি জানিয়েছে, তাদের কাছে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর পাওনা ১০ দশমিক ৬ কোটি ডলার। আজ যেহেতু বাংলাদেশ এক সংকটাপন্ন অবস্থানের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। স্বল্প আয়ের দেশ সমূহের ভাগ্য নির্ধারনে ভারতে বিশ্ব নেতারা একত্রিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও সেখানে আমন্ত্রিত। তাদের কাছে আমাদের দাবি আর নয় জীবাশ্ব জ্বালানিতে বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি হোক সবার জন্য।  গ্যাস-কয়লা-তেল ভিত্তিক জ্বালানীতে বিনিয়োগ না-করে, বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নিয়োগ করো; দারিদ্রকরণের নীতি বর্জন করো, সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলো। তোমাদের বিনিয়োগ আমাদের জীবনকে ধ্বংস করছে, পরোনির্ভরশীলতা বাড়িয়ে তুলছে। জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে তোমাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করো। কার্বন নিরোসনে অর্থায়ন করো।

লেখকঃ বাহালুল আলম, জ্বালানী বিষয়ে কাজ করা একজন উন্নয়ন কর্মী

সংবাদটি শেয়ার করুন : ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ

বর্তমান ভিজিটর

Total Visitors
2336376
801
Visitors Today
164
Live visitors
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি রাইট বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Hwowlljksf788wf-Iu