বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাগেরহাটে বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত রূপসার টিএসবি ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর এখন শ্রীঘরে ! সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন আটক তেরখাদায় সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা খান গ্রেপ্তার বাগেরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় সাংবাদিক মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ  তেরখাদায় নৌ বাহিনীর অভিযানে মাদকদ্রব্য জব্দ ২ আসামী আটক খুলনার নাগরিক সেবায় কেসিসির ৩১ কর্মকর্তা নিয়োজিত  রূপসায় আজিজুল বারী হেলাল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে ‘জাতীয় পরামর্শক কমিটি’ পুনর্গঠন অবৈধ পলিথিন বন্ধে নওগাঁয় দুই প্রতিষ্ঠানে জরিমানা ও বাজারে লিফলেট বিতরণ 

নওগাঁয় আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক !

Reporter Name
  • আপডেট টাইম সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২১০ জন সংবাদটি পড়েছেন
সবুজ হুসাইন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ নওগাঁয় আমন ক্ষেতে পোকার ব্যাপক আক্রমণ ও রোগ বালাইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে তিন থেকে চার দফা কীটনাশক ব্যবহার করেও লাভ হয়নি এছাড়া রয়েছে ইঁদুরের আক্রমণ।
এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চেয়েও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
বোরো ধানের বাম্পার ফলনের পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন নওগাঁর কৃষকেরা। কিন্তু ধান খেতে হঠাৎ করে প্রকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। কারেন্ট পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার সঙ্গে যোগ হয়েছে ইঁদুর।
বাজার থেকে সংগ্রহ করা কীটনাশক দিয়েও পোকার আক্রমণ ও বিভিন্ন ধরনের রোগ ঠেকাতে পারছে না কৃষকরা। শুধু তাই নয়, অনেক এলাকায় বের হওয়া ধানের শীষও কালো হয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলেও তাদের দেখাই মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের সালুকা গ্রামের কৃষক আত্তাব আলী জানান, কারেন্ট পোকা মাজরা পোকার আক্রমণে প্রায় তিন বিঘা জমির ধান আমার নষ্ট হয়ে গেছে কীটনাশক দেওয়ার পর পরই বৃষ্টি শুরু হয় যার কারণে কোনো সুফল পায়নি। এ ব্যাপারে আমাদের ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তার সাথে দেখা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও তার দেখা মিলেনি। তাই বাজার থেকে কীটনাশক ক্রয় করে ব্যবহার করছি।
একই গ্রামের কিষাণী বুলবুলি বেগম বলেন, পর পর ৩ বার বিষ দেওয়া হয়েছে তাও কোনো কাজ হচ্ছে না। সব ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কী করবো আমরা ভেবে পাচ্ছি না।
হাপানিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার গৌর চন্দ্রের সাথে দেখা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি অফিসে দুই বার মেয়েও দেখা মিলেনি এই অফিসারের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। যখন বৃষ্টির প্রয়োজন তখন বৃষ্টি হচ্ছে না আবার যখন বৃষ্টির প্রয়োজন নেই সে সময় বৃষ্টি হচ্ছে। আশ্বিন মাসের বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দিনে গরম রাতে ঠান্ডা এই আবহাওয়া পোকামাকড় ও ইঁদুরের জন্য উপযুক্ত সে কথা মাথায় রেখে আমরা কৃষকদের সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। উঠান বৈঠক করছি, লিফলেট এর মাধ্যমে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করছি, আলোকপাত তৈরি করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন : ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ

বর্তমান ভিজিটর

Total Visitors
3041719
397
Visitors Today
63
Live visitors
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি রাইট বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Hwowlljksf788wf-Iu