নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রাপ্তিসহ সকল স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীকে স্থান দেওয়ার দাবির প্রতি সাংবাদিকরা একমত। নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে অতীতের মত ভবিষ্যতেও সহযোগী শক্তি হিসেবে পাশে থাকবেন সাংবাদিকরা।
আজ বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সাংবাদিকবৃন্দের সম্পৃক্ততা বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকবৃন্দ এ কথা বলেন।
খুলনা জেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম সভাপতি ফারজানা নিশার সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
সাংবাদিকদের আলোচনায় অংশ নেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, কৌশিক দে বাপী, সুনীল দাস, আব্দুল্লাহ আল মমুন রুবেল, রীতা রাণী দাস ও সামসুন্নাহার মেঘলা।
অপরাজিতা নেত্রীবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চঞ্চলা মণ্ডল, নাসরিন আক্তার, রিমা খানম, মাধুরী সরকার, বিথীকা রায় এবং আফরোজা খানম মিতা।
নারী নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে দেশে নারী ভোটার প্রায় ৫২% এবং নির্বাচনে ৬০% নারী ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলি জনগণের কথা শোনে এবং এ সময় নারীদের দাবি রাজনৈতিক দলের নিকট উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ৩৩% সংসদীয় আসনগুলিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া ও রাজনৈতিক দলের সকল কমিটিতে ৩৩% নারীকে যুক্ত করার সাথে সাথে গুরুত্বপূর্ণ পদে বিশেষ করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নারীকে অন্তর্ভূক্ত করার অধিকার অর্জনে নারীদের চলমান আন্দোলনে সাংবাদিকবৃন্দ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সভায় অপরাজিতা নারী নেতৃবৃন্দের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন গ্রুপ খোলা যায় কি না সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
নারীনেত্রী এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বুলু রায় গাঙ্গুলী এবং অপরাজিতা প্রকল্পের এডভোকেসি এন্ড নেটওয়াকিং কো-অর্ডিনেটর খন্দকার জিলানী হোসেনের যৌথ উপস্থাপনায় বিভিন্ন কমিটিতে অংশগ্রহনের সংখ্যাগত অবস্থা ও অপরাজিতা ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারনা উপস্থান করেন অপরাজিতা প্রকল্পের সমন্বয়কারী সুবল ঘোষ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি) সরকারের সহায়তায় ও হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপরারেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় “অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন” প্রকল্পটি রূপান্তর খুলনা ও বাগেরহাট জেলার ৮৪টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করছে।