খুলনা প্রতিনিধিঃ নির্মাণ কাজে টেকসই উপকরণ ব্যবহার করার আহবান জানালেন ভূমিমন্ত্রী। আমাদের এমন উপকরণ ব্যবহার করা উচিৎ যা কেবল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে না বরং পরিবেশ সংরক্ষণেও অবদান রাখে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে ইটভাটায় টপ সয়েল ব্যবহারে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে। মালিকদের পরিবেশবান্ধব ব্লক তৈরি করা প্রয়োজন। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোন কাজ করা যাবে না।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ের ব্লক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, কংক্রিট ব্লক নির্মাণ শিল্পে এক আধুনিক প্রযুক্তি। এই ব্লকগুলো ইটের তুলনায় বর্ধিত স্থায়িত্ব, উন্নত নিরোধক এবং পরিবেশগত ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করে। মন্ত্রী এসময় অংশীজনদের নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে কংক্রিট ব্লক ব্যবহারের ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করেন। তিনি এসময় কংক্রিট ব্লক উৎপাদন খাতে উদ্ভাবন চালানোর ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা ও প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। মন্ত্রী পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সম্মিলিত অগ্রগতির লক্ষ্যে কংক্রিট ব্লক উৎপাদনকারী সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য অ্যাসোসিয়েশন কিংবা ফেডারেশন প্রতিষ্ঠার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ ফিরোজ শাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পোড়ানো ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক ইট ব্যবহার বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম আনিছুজ্জামান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশস, ব্লক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন। মতবিনিময় সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, খুলনা বিভাগীয় অঞ্চলের কংক্রিট ব্লক উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উদ্যোক্তা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিরা কংক্রিট ব্লক নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা এবং অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, যে ইটভাটাগুলো বায়ুদূষণের এক বড় উৎস। এছাড়া ইটভাটায় যথেচ্ছভাবে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। কংক্রিট বক্ল ব্যবহারে এই ঝুঁকি অনেক কমে আসবে বলে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়।