মিল্লাত হাসানঃ সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষ ফকির মিসকিন,যাদের নেই কোন বসত ভিটা কর্ম- সংস্হান, কোন রকমে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে, মানুষের কাছে হাত পেতে। আর এই ভূমিহীন মানুষদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মিঠাপুকুর উপজেলার ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ সাজু মিয়ার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী আন্জুরা বেগম জানান,আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে সাজু মেম্বার আমার কাছ থেকে নয় হাজার টাকা নেয়,কিন্তু ঘর দিতে না পেরে দীর্ঘ দিন পর দুই হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি সাত হাজার টাকা না দিয়ে সরকারি চালের কার্ড করে দেন, তার জন্য দিতে হয় চার হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী জানান, এখনো তিন হাজার টাকা পাওনা আছি। এছাড়াও ভুক্তভোগী শাহানাজ পারভিন জানান, আমার সরকার থেকে কার্ড হয়েছে বিষয় টি জানতে পেরে মেম্বার সাজুর কাছে গিয়ে কার্ড চাই, মেম্বার বলেন কার্ড হয়েছে দুই দিন পর এনে দিবো। এর পর অনেক দিন তার পিছনে ঘুরেও কার্ড পাইনি। এছাড়াও মেম্বার সাজু কার্ড চাওয়ার কারণে বাজারের মাঝে আমাকে মারর জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এই ঘটনার পর অন্য লোকের সহায়তায় উপজেলার চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকারের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে আসি।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঘর পাওয়ার জন্য গরু-ছাগল বিক্রি ও অনেকে অনেক জায়গা থেকে ঋণ নেয়,ঋণের টাকা ঘর দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাজু মিয়া। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারী সহায়তার কার্ড করে দেয়ার নাম করেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার সাজু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন তিনি । এ বিষয়ে ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত সাজু মিয়ার বিরুদ্ধে আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে, আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি, প্রমাণ পেলে আমি তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি নিজে আশ্রয় প্রকল্পের ঘরের চাবি সকলকে প্রদান করি কিন্তু টাকা নেয়ার ব্যাপারে আমি অবগত নই । তবে উপযুক্ত প্রমাণ পেলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।