নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনার রূপসায় আর আর এফ নামের সুদ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নবাগত ব্যবস্থাপক মোঃ আল-আমীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতি স্বেচ্ছাচারীতাসহ গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতী তিনি একজন প্রতিবন্ধী গ্রাহকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাথি মেরে জনরোষের শিকার হয়ে রূপসা থানার ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলাম তার ভগ্নীপতি পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন।
জানা যায় কিছুদিন পূর্বে তিনি আর আর এফ রূপসা ব্রাঞ্চে যোগদান করার পর থেকে নানাভাবে গ্রাহকদের সংগে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমন অভিযোগকারীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। নিদৃষ্ঠ তারিখে লোন দিতে অনিহা, গ্রাহকদের সঞ্চয় উত্তোলনে হয়রানীসহ নানা জটিলতার সৃষ্টি। অভিযোগ রয়েছে তার এই আচরণের কারনে অনেক গ্রাহকই সমিতি থেকে সঞ্চয় উত্তোলন করে সরে পড়ছে।
এই সমিতির একজন পুরানো সদস্য হলো পূর্ব-রূপসাঘাটে কোয়েল পাখির ডিম বিক্রেতা শারিরীক প্রতিবন্ধী মনির। তার এই প্রতিবন্ধীতার কারনে মানবিক সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমির নির্দেশে পূর্ব-রূপসা ঘাটের পল্টুনে কোয়েল পাখির ডিম বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করে। মনির তার ব্যবসার প্রয়োজনে তার বোনের নামে একটি বই করে সমিতির লোন তুলে নিয়মিত ব্যবসা করে আসছিল। সে নিয়মিত লোন পরিশোধ করায় সমিতির কর্মকর্তারা তার উপর সন্তুষ্ট থাকায় ৪র্থ বারে ৭০ হাজার টাকা লোন গ্রহন করে। সমিতির ব্যবস্থাপক আল-আমীন হাওলাদার তার বই অফিসে আটকে রেখে মাঠকর্মীর মাধ্যমে কিস্তির টাকা নিয়ে যায়। সমিতির গ্রাহক মনির তার বই না আনলে কিস্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গত ১৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮ টায় সমিতির ব্যবস্থাপক আল-আমীন হাওলাদার পূর্ব-রূপসা ঘাটপল্টুনে এসে সমিতির গ্রাহক প্রতিবন্ধী মনিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোয়েল পাখির ডিমের ঝুড়িতে সজোরে লাথি মারে। এঘটনায় পল্টুনে উপস্থিত জনরোষের শিকার হন তিনি। জনরোষের কবল থেকে বাচতে তাকে বার বার বলতে শোনা যায় রূপসা থানার ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলাম তার ভগ্নিপতি। তাকে ফোন দিয়ে ডেকে এনে প্রতিবন্ধী মনিরকে সে তুলে নিয়ে যাবে।
এদিকে মনিরের বইটির হিসাব গরমিল করার জন্য তার বইটি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে তাকে জানানো হয়েছে। এঘটনায় জনগণ ফুঁসে উঠেছে। যেকোনো মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা।