রূপসা প্রতিনিধিঃ খুলনার রূপসায় পল্লী চিকিৎসকের নিকট ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে যেয়ে খেসারত গুনতে হচ্ছে পূর্ব রূপসা ঘাট এলাকার মো. খলিলুর রহমান শেখ (৫৮) নামের এক ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসায়ীর। অসুস্থ খলিলুর রহমান বাগমারা এলাকার মৃত আফসার শেখের ছেলে।
ভূক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে পূর্ব রূপসার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন মাজারের সন্নিকটে পল্লী চিকিৎসক মোঃ দুলালের কাছে খলিলুর রহমান ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে যায়। সেখানে চিকিৎসক দুলাল খলিলুর রহমানের ডানহাতের একটি আংগুলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে সিরিঞ্জ পুশ করে রক্ত নেয়। তারপর থেকে হাত ফুলে যন্ত্রণা শুরু হয়। এমনকি তিনি হাতের যন্ত্রণায় কাতর। এঘটনার পরে অসুস্থ ভূক্তভোগী খলিলুর রহমানের হাত ফোলার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে তার হাতের যন্ত্রণা এবং ফোলার কারণে ভয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনার পর অসুস্থ খলিল চিকিৎসক দুলালের কাছে বিষয়টি জানতে ২-৩ বার যাওয়ার পরেও সে বলেছে তার এতে কোন দোষ নেই। তাছাড়া ভালো কোন পরামর্শ না দিয়ে ওই চিকিৎসক বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ পর্যন্ত তার হাতের পিছনে বেশ টাকা খরচ হয়ে গেছে। আরো খরচ হবে এবং হাত ফোলার কারণে ভয়ে হাও মাও করে কাঁদতে থাকে এ অসহায় ভুক্তভোগী অসুস্থ বৃদ্ধ।
এ ব্যাপারে অসুস্থ মো. খলিলুর রহমান শেখ বলেন, এ ঘটনার পর আমি দুলালের কাছে ২-৩ বার গেছি। কিন্তু সে বলেছে আমার এতে কোন দোষ নেই।
আমি মনে করি ওই সিরিঞ্জে জীবানু ছিলো। সিরিঞ্জটা ব্যবহার করার সময় গরম পানি দিয়ে ওয়াশ করা উচিৎ ছিলো।
তিনি আরো বলেন, খুলনার বড় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে বলেছে পরিক্ষা করতে আমরা যেটা ব্যবহার করি সেটা সে করেন।
এ পর্যন্ত হাতের পিছনে প্রায় তিন হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। আরো খরচ হবে। আমার একদিন আয় না করলে সংসার চলে না। গরীব মানুষ, চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমসিম খাচ্ছি।”আল্লাহ” ভালো জানেন হাতের অবস্থা কি হবে এই বলে হাও মাও করে কাঁদতে থাকে।
পল্লী চিকিৎসক মো. দুলাল শেখ বলেন, উনি ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে আসছিলো। আমি নতুন সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করে পরীক্ষা করে দেই। তবে এমনটি হয়েছে কেন এটা আমার জানা নেই। আগে কখনও কারো সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে তাকে দুটি ব্যথার ইনজেকশন দিয়ে হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।