ভ্রাম্যমান মাদক ও দেহ ব্যবসায় ছেয়ে গেছে খুলনার রূপসা উপজেলার জনবহুল পূর্ব-রূপসা এলাকা। এখানে সবকিছুই ওপেন সিক্রেট চলে। শুধুই চোখে পড়েনা পুলিশের সন্তোষজনক ভূমিকা। অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এখন পুলিশ।
গত ৩ আগষ্ট বিকাল ৫টার দিকে রূপসা বাসষ্ট্যান্ড ফাঁড়ির জনৈক্য কনষ্টবল এলাকার চিহ্নিত ভ্রাম্যমান মাদক বিক্রেতা মাজেদা নামের এক মহিলাকে ভ্যান যোগে ফাঁড়িতে নিতে দেখে মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিল চোরের দশ দিন গৃহস্তের একদিন। বেশ কিছু সময় আটক রাখার পর অজ্ঞাত কারনে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য তার কাছে কিছু পাওয়া যায়নি। তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা গেল মাজেদার ডিলার খবর পেয়ে মোটা টাকার বিনিমিয়ে তাকে ছাড়িয়ে এনেছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তবে কেনো তাকে ফাঁড়িতে ধরে নেয়া হল।
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা যেমন জনমনে সমালোচিত হয়েছে তেমনি মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগটিও প্রমানিত হয়েছে।
অন্যদিকে ভ্রাম্যমান পতিতাদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেলেও পুলিশের দৃষ্টি গোচর না হওয়ায় সমাজে অস্থিরতা বাড়ছে। চায়ের দোকান গুলোতে চলছে এদের রমরমা আড্ডা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এদের সেখানে আড্ডা দিতে দেখা যায়।এদের কারনেই মূলত চায়ের দোকানে ভীড় হতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন পুলিশের সাথে রয়েছে এদের গোপন সখ্যতা যে কারনে এদের অবাধ বিচরণ। পুলিশ এদের দেখেও না দেখার ভান করে।
বিষয়টি খুলনার পুলিশ সুপারের দৃষ্টিগোচর হওয়া প্রয়োজন বলে বিজ্ঞ মহল মত প্রকাশ করেন।