রূপসা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার রেল মসজিদ সংলগ্ন মাঝি পাড়ায় মোবাইল কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ মাসের অন্তঃসত্বা মহিলাসহ ৪/৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তঃসত্বা মহিলা আশংকাজনক অবস্থায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় উভয় পক্ষ রূপসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
চর রূপসা নিবাসী মৃত আসমত ব্যাপারীর পুত্র মোঃ দেলোয়ার ব্যাপারী থানায় লিখিত অভিযোগে জানায় ১। মোঃ সাইদুল ওরফে ঢুলি(৪০), পিতা- অজ্ঞাত, ২। মোঃ আছাদুল মল্লিক (৩০), ৩। মোঃ জাহিদুল মল্লিক (২৫), উত্তরা পিতা- মৃতঃ ছত্তার মল্লিক, ৪। মোঃ ইউনুছ শিকদার (৩২), পিতা- সোরাব শিকদার সর্বসাং- চর-রূপসা, থানা- রুপসা, জেলা- খুলনা আমার প্রতিবেশী। অদ্য ইং১১৩/০৯/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় সামান্য মোবাইলের কাগজপত্র চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন ব্যাক্তি আমার ছোট বোন আদুরী বেগম (২০), পিতা- মৃতঃ আসত ব্যাপারী, স্বামী- মুকুল খা এবং আমার বোনের স্বামী মোঃ মুকুল খা(২৫), পিতা- মৃত্য আজিত খা, উত্তরা সাং- চর রূপসা, থানা- রুপসা, জেলা- খুলনাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ১নং বিবাদী হুকুম দিয়া বলে, জন্মের মত মোবাইলের সাধ ঘোচাইয়া দে।” হুকুম পাইয়া ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমার বোনের স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা বরাবর আঘাত করে। বাঁচার উদ্দেশ্যে সরে গেলে আঘাতটি তাহার পিঠে এসে লাগে। পরবর্তীতে ২নং ও ৩নং বিবাদী আমার বোনের স্বামীকে ঠেলে মাটিতে ফেলে দিয়ে বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন ব্যাক্তি উপর্যুপরি চড়, কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত ও নীলা ফুলা জখম করে।
আমার বোন বিবাদীগণদের ঠেকাতে এগিয়ে গেলে ৪নং বিবাদী আমার বোন (ছয় মাসের অন্তস্বত্তা) কে পেটের উপরে সজোরে লাথি মারে। আমার বোন সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যায় এবং ব্যাথায় ছটপট করতে থাকে। আমি চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বিবাদীগনদের ঠেকাতে এগিয়ে আসলে বিবাদীগন আমাকেও ঠেলে মাটিতে ফেলে দিয়ে উপর্যুপরি চড়, কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে।
আমাদের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দিয়ে দ্রুত স্থান পরিত্যাগ করে। এলাকাবাসির সহায়তায় আমার বোন ও বোন জামাইকে অতি দ্রুত আশংঙ্কাজনক অবস্থায় রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বোনকে অতি দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আমরা মাহেন্দ্রের মাধ্যমে অতি দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং ভর্তি করি। আমার বোন এখনও আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপরদিকে একই এলাকার সাইদুল ইসলাম ঢুলি তার স্ত্রীকে মারধর ও তার কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি মর্মে উভয় পক্ষ জানিয়েছে।