নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা জেলার রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় কার্যালয়ের নাজির ও অফিস সহায়কের আলমারি ভেঁঙ্গে নাজির ও অফিস সহায়কের আলমিরাতে রাখা ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৭০ টাকা নিয়ে যায় চোরেরা।
বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রূপসা থানার ওসি (তদন্ত) মো. সিরাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ হোসেন।
সরেজমিনে ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের যে কোন সময় চোর প্রথমে কার্যালয়ের সামনের একটি ভেন্টিলেটর দিয়ে প্রবেশ করে। পরে কার্যালয়ের দরজা খুলে প্রবেশ করে নাজির ও অফিস সহায়কদের আলমিরার তালা, লক ও ড্রয়ারের তালা ভেঁঙ্গে নগদ টাকা নিয়ে যায়। তবে আলমিরায় থাকা দামি ল্যাপটপসহ অন্যান্য কাগজপত্র যথাস্থানেই ছিল।
নাজির এস এম ইব্রাহিম হাসানসহ রূপসা উপজেলা ভূমি অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন (২৩ মে) মঙ্গলবার সকালে যথারীতি ০৯:০০ ঘটিকায় অফিসে আসিয়া অফিসের কার্যক্রম শেষে একই তারিখ বিকাল ০৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত অফিসের সকল আলমীরা ও প্রতিটি কক্ষের দরজার তালাবদ্ধ করিয়া যে যাহার মত চলিয়া যায়। অফিসের রাত্রিকালীন নিরাপত্তার জন্য মোঃ নিজাম উদ্দিন (৪৫) অনুমান ৭/৮ বছর যাবত পাহারাদার হিসাবে নিয়োজিত রহিয়াছে। তিনি রূপসা উপজেলা ভূমি অফিসের হল ‘ভিতরে অবস্থান করিয়া অফিসের সকল প্রকার নিরাপত্তা দিয়া থাকেন।
২৩ মে দিবাগত রাত অথ্যাৎ ২৪ মে ভোর অনুমান ৪:১৫ ঘটিকার সময় নাজির এস এম ইব্রাহিম হাসানকে অফিসের পাহারাদার মোঃ নিজাম উদ্দিন ফোন করিয়া জানায় যে, অফিস কক্ষের মধ্যে তাহার রুমের দরজা ও অফিসের প্রধান সহকারীর রুমের দরজা খোলা। বুধবার সকালে কার্যালয়ে ফিরে জানতে পারেন প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক কে এম আবু জাফর মল্লিক (৪৪) এর আলমীরার মধ্যে থাকা ভিপি লিজ নবায়নকৃত প্রাপ্ত রক্ষিত ১৮,৫২০/- টাকা নাই। নাজির এস এম ইব্রাহিম হাসান তাহার কক্ষে স্টিলের আলমীরাতে রাখা ৫৬,৩৫০/-টাকা ১৫০,২৩(৩) ধারা কেসের ডিসিআর ফি বাবদ এবং ভূমিহীনদের নামে সরকারী বরাদ্দকৃত ঘরের নাম জারি, ডিসিআর ফি বাবদ প্রাপ্ত ৮২,৫০০/-টাকা নাই।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অফিসের ল্যাপটপ ও জরুরী কাগজপত্রের কোন খয়ক্ষতি হয়নি শুধুমাত্র টাকা নিয়েছে। পুলিশ যথাযথ ভাবে কাজ করছে দ্রুত উদ্ধার হবে বলে আশা করছি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ওসি (তদন্ত) মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে এ চুরি মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হব।