বৃষ্টি বর্তমানে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বৃষ্টি হেমোথিড্রোসিস সিনড্রোম নামক বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে সহসা রক্ত বের হয়।
বৃষ্টির বাবা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, ’২০২০ সালে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বৃষ্টির গলা দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলমান থাকাকালীন তার অবস্থা আরও খারাপের দিকে মোড় নিলে আমরা তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।’
তিনি আরও বলেন, ’ঢাকা থেকে উন্নত চিকিৎসা পেয়েও বাড়ি ফিরে এসে বেশি দিন তার শারীরিক অবস্থা ভালো যায়নি। বরং দিন দিন তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে সহসা রক্ত বের হচ্ছে ।’তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃষ্টিকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও তার কৃষক বাবা টাকার অভাবে সে ব্যবস্থা করতে পারছেনা। বৃষ্টিকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা তার বাবা-মায়ের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
বৃষ্টি বাঁচতে চায়। তাই তার বাবা-মা সকল দেশ প্রবাসী মানবিক ভাইদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:বিকাশ : ০১৯২৫-৬৮২২৫৪ (বৃষ্টির বাবা)
উল্লেখ্য, হেমাটিড্রোসিসের সর্বাধিক প্রকাশিত কেসগুলির বিশ্লেষণ অনুসারে, দেহের সর্বাধিক সাধারণ সাইটগুলি যেখানে রোগীদের রক্ত ঘামতে দেখা গেছে তারা হলো কপাল, মাথার ত্বক, মুখ, চোখ এবং কান। কখনও কখনও রক্তাক্ত ঘামের সাথে ব্যথা বা টিংগল হয় এবং কিছু লোক যারা এই অবস্থার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ বা মাথা ব্যথাও হয়ে থাকে। এ পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলমান থাকলে রোগীর দেহে রক্তশূণ্যেতা দেখা দেয় এবং পরিস্থিতি সংকটকূল হতে পারে। তাই বৃষ্টির চিকিৎসার জন্য এলাকার বিত্তবানদেন এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তার অসহায় বাবা।