নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গৃহবধূ সুমি হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আটক করেছে অভিযুক্ত স্বামী আবু ইউসুফেকে।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো: শহিদুল ইসলাম রবিবার সকালে সোনাইমুড়ী থানা চত্বরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ৫ মাস আগে সুমি প্রেম করে বিয়ে করে কুমিল্লার মুরাদ নগরের আবু ইউছুফ নামে এক ব্যক্তিকে। গত সোমবার রাত থেকে সুমির ফোন বন্ধ ছিল। যোগাযোগ না থাকায় বড় ভাই আরাফাত বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাইমুড়ীতে সুমির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝুলানো। ঘরের ভেতর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তার পর বাড়ির মালিকের সহায়তায় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ বসত ঘরের শৌচাগার থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন।
পরে, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আবু ইউসুফকে সাতক্ষীরা মডেল থানা এলাকার সীমান্ত আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে। আবু ইউসুফ পেশায় একজন চোর। বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন চুরি করা তার নেশা ও পেশা ছিলো। একাধিক বিয়ে ও একাধিক মহিলার সাথে রয়েছে তার প্রেমের সম্পর্ক। তাকে আটক করার পর ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আবু ইউসুফকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
যেভাবে খুন করা হয় সুমিকেঃ চলতি মাসের ১ তারিখ সকাল ৯টার সময় সুমি থেকে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ইউসুফ। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ইউসুফ ভিকটিমের নাকেমুখে থাপ্পড় মারে। এতে মুখ দিয়ে প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয়। পরে গলায় থাকা ওড়না পিছন দিয়ে শক্তভাবে ধরে শ্বাস রোধ করে সুমিকে হত্যা করে ঢাকায় চলে যায় ইউসুফ। এর একদিন পর পুনরায় আবু ইউসুফ ভাড়া বাসায় এসে লাশ বাথরুমের ভেতরে রেখে বাহিরের দরজায় তালা দিয়ে সে আত্মগোপন করে।