বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

কয়রা-পাইকগাছায় আ.লীগের মনোনয়ন পেতে প্রচারণার মাঠে নতুন ছয় প্রার্থী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
  • ২৩৫ জন সংবাদটি পড়েছেন
কয়রা প্রতি‌নি‌ধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আশায় বেশ কয়েকজন নতুন মুখ এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। রাস্তা, বাজারসহ এলাকার বিভিন্নস্থানে এসব সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্যানা-পোস্টার দৃশ্যমান। একই সাথে দলীয় কর্মী ও এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে তারা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। ক্রমাগত নতুন মুখের সংখ্যা বাড়লেও  দুই জনের কর্মকান্ড বেশি লক্ষ্যনীয়। নির্বাচন নিয়ে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের তেমন আনাগোনা চোখে না পড়লেও আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতিযোগীতামূলক প্রচারণা বর্তমানে এলাকায় নির্বাচনী আমেজ তৈরী করেছে।
মনোনয়ন পেতে এলাকায় নতুন যাদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে তারা হলেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী প্রেম কুমার মন্ডল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সদস্য শেখ মনিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য এস,এম সাইফুল্যাহ আল মামুন, স্বাচিপ নেতা ডা. শহীদুল্লাহ
কমবেশি সকলেরই তৎপরতা দেখা গেলেও প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ও রাশেদুল ইসলামের প্রতিযোগীতামূলক প্রচারণা এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। দিন-রাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা। দলের নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে চেষ্টার অন্ত নেই তাদের।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছেন প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম। দলের বিভিন্ন কর্মসুচীতে তাঁর উপস্থিতি এবং দলের স্থানীয় সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। গতবার ও এবার ঈদুল ফিতরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করতে দেখা গেছে। এছাড়া অসহায় মানুষের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন। সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনগণের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে উন্নয়ন চিত্র সমৃদ্ধ লিফলট বিতরণ করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, এলাকার সন্তান হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। একই সাথে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে প্রচারণা করে যাচ্ছি। কেন্দ্রসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছি। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে টেকসই বাঁধ নির্মাণসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখব।
রাশেদুল ইসলামও প্রচারণায় পিছিয়ে নেই। স্থানীয় নেতা-কর্মীর পাশাপাশি কেন্দ্রেও যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। বিভিন্নস্থানে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড প্রচার করতে দেখা গেছে। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এড. নূরুল হকের কনিষ্ঠপুত্র। তার পাশাপাশি তার আপন বড় ভাই শেখ মনিরুল ইসলামও প্রচারণায় নেমেছেন। মনিরুল ইসলাম বিগত নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে রা‌শেদুল ইসলাম তার পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তার বড় ভাই ম‌নিরুল ইসলামও প্রচারণায় নে‌মে‌ছেন। সরকা‌রের উন্নয়ন কর্মকান্ডের তথ‌্য প্রচার কর‌ছেন। বি‌ভিন্নস্থানে গণসং‌যোগ কর‌ছেন। তি‌নি ব‌লেন, আমার আব্বু সংসদ সদস‌্য থাকাকা‌লীন তার সা‌থে থে‌কে মানু‌ষের সা‌থে মি‌লে‌মি‌শে চ‌লে‌ছি। মানু‌ষের পা‌শে দাঁড়া‌নোর চেষ্টা ক‌রে‌ছি। দীর্ঘ‌দিন আওয়ামী রাজনী‌তির সা‌থে জ‌ড়িত। নূরুল হক প‌রিবার থে‌কে য‌দি বি‌বেচনা করা হয় তাহ‌লে আমি ম‌নোনয়ন পা‌বো ব‌লে দৃঢ় বিশ্বাস র‌য়ে‌ছে।
তরুণ প্রার্থী সাইফুল্যাহ আল মামুন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আওয়ালীলীগের রাজনীতির সঙ্গে আছি। আমার বাবা সানা ইউনুসুর রহমান ছিলেন কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক। তাঁর পরিশ্রমে দল সাংগাঠনিকভাবে এলাকায় অনেক শক্তিশালী হয়েছে। তাঁর সন্তান হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে এবার নিজ এলাকার জন্য মনোনয়ন চাইব।
জানা গেছে, এবারই প্রথম দলীয় মনোনয়ন পেতে এতো বেশি সংখ্যক নেতা ব্যাপকভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত অন্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের আনাগোনা দেখা না গেলেও সরকার দলীয়দের মধ্যে মনোনয়ন প্রতিযোগীতা এলাকায় নির্বাচনী আমেজ তৈরী করেছে। হাটে, বাজারে চায়ের আড্ডায় এসব প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা চলছে। তাদের নিজ নিজ অনুসারিরা মটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ প্রচারণা চালাচ্ছেন। জাতীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাধীনতা পরবর্তি সময় থেকে এখন পর্যন্ত এ জনপদের উন্নয়নে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। অভ্যন্তরিণ সড়কের উন্নয়ন না হওয়ায় এখনও অনেক ইউনিয়নের মানুষকে নৌকা ও ট্রলারে যাতায়াত করতে হয়। এর মধ্যে কয়রা উপজেলার দক্ষিন বেদকাশি ও পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমেনি আজও।
সাধারণ মানুষের দাবী, অবহেলিত জনপদের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার। এ জন্য স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে কেউ প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশাগুলি উপলব্ধি করে উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন : ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ

বর্তমান ভিজিটর

Total Visitors
2732543
240
Visitors Today
57
Live visitors
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি রাইট বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Hwowlljksf788wf-Iu