আমরা সবসময় উল্টো পথ অবলম্বন করি। কেনো বললাম। একারনে কথাটা বললাম। যখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল, মৃতের সংখ্যা কম ছিল তখন আমরা বেশি বেশি হাত ধুয়েছি, মুখে মাক্স পরেছি, হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেছি, লক ডাউন করেছি। সেনাবাহিনী নামিয়েছি, আনসার পুলিশ সহ আরো কত বাহিনী মাঠে নিয়জিত ছিল। পরবর্তীতে দেখা গেলো সবকিছু শিথিল করার ফলে ক্রমেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে লাগলো, মৃতের সংখ্যা বাড়তে লাগলো, সামাজিক দূরত্ব কমতে লাগলো। কি অদ্ভুত ব্যাপার বলেনতো। বহিঃবিশ্বে দেখেন সরকারি নির্দেশনা কি ভাবে মানছে তাদের জনগন। কষ্ট তাদেরও আছে। তারাও আমাদের মত মানুষ। তারপরেও জাতিয় স্বার্থে তারা ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। আর আমরা সবসময় নিজের স্বার্থের কথা ভাবি। কখনোই আমরা জাতিয় স্বার্থকে বড় করে দেখিনা। জাতিয় স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকান্ডের চর্চা সংস্কৃতি যেনো আমাদের আষ্ঠে পিষ্টে লেগে আছে। এ থেকে আমরা বের হতে পারছিনা। সবদেশে জনস্বার্থকে সামনে রেখে রাষ্ট্র পরিচালিত হয় এবং জনস্বার্থকে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনা করে আইন প্রণীত হয়। সেই আইনকে কঠিন ভাবে বাস্তবায়ন করে রাষ্ট্র। আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো। সকল ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে উপেক্ষা করা হয় এবং সে নীতিই আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অনুসৃত হয়। উদাহরণ স্বরুপ বলতে পারি অপরাধ দমনের পরিবর্তে অপরাধ বেশি হয়। অনিয়ম বন্ধের পরিবর্তে অনিয়ম সৃষ্টি করা হয়। নিরাপরাধ মানুষ বছরের পর বছর জেল খাটে। আর বড় বড় অপরাধীরা আইনের ফাক-ফোকড় দিয়ে নিরাপরাধ হিসেবে মুক্তি পায়। এটাই হচ্ছে উল্টো পথ। আমাদের দেশে আজ ২৫মে পর্যন্ত করোনার টেষ্ট হয়েছে ২লাখ ৫৩ হাজার ৩৪ জনের। তারমধ্যে পজেটিভ হয়েছে ৩৫ হাজার ৫শ ৮৫ জন। মৃতের সংখ্যা ৫শ ১ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ৭ হাজার ৩শ ৩৪ জন। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে কঠিন পদক্ষেপ না নিলে জাতির সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।