খুলনার রূপসায় স’মিল মালিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্বারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ভাই আবু তালেব বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। অপরদিকে নিহতের স্ত্রী পলি বেগম দাবী করেছে তার স্বামীকে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা তার গলায় রশি পেচিয়ে মিলের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ ব্যাপারে নিহতের ২ স্ত্রীর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেছে।
গত ২৮ মে বিকালে রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের সামন্তসেনা (পদ্মা বিল) এলাকায় নিজ স’মিলের মধ্যে থেকে থানা পুলিশ সিরাজ শেখের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। নিহতের পরনের গেঞ্জি ছেড়া এবং দুটি পা মাটির সাথে মেশানো ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করেছে যার মধ্যে ১ জোড়া মহিলার স্যান্ডেল রয়েছে। সিরাজের দ্বিতীয় স্ত্রী পলি জানান, তার স্বামীর ভাই ও স্ত্রী সন্তান মিলে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারিরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। তারাই আমার স্বামীকে হত্যা করছে। অপরদিকে সিরাজের পিতা মাতার পক্ষ থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে সিরাজ হত্যার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এদিকে সিরাজের মৃত্যুর খবরের পর থেকে তার ব্যবসায়ীক পার্টনার নেহালপুর গ্রামের মনির নিখোজ রয়েছে। হত্যা বা আত্মহত্যার সাথে মনিরের সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। রূপসা থানার ওসি (তদন্ত) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে পারিবারিক অশান্তির কারনে সে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে হত্যা না আত্যহত্যা তা জানা যাবে। নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে জানাগেছে, সিরাজের পিঠে আঘাতের চিহ্ন আছে। এলাকায় নানা গুঞ্জন রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন সিরাজ আত্মহত্যা করার মানুষ নয়। অত্যাধিক পরিশ্রমী একজন মানুষ। ছোটবেলা থেকে পরিশ্রম করে বেশ টাকা উপার্জন করেছিল সমিল মালিক সিরাজ। তার সেই অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে।