রূপসা উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ২১জন ওএমএস ডিলারদের অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী (ওএমএস) চালের কার্ড ধারীদের যাচাই বাছাই শুরু হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বকর মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসহাক সরদার, এমপির প্রতিনিধি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবীব, ডিলার এবিএম কামরূজ্জামান, ইউপি সদস্য সরদার কামরুল ইসলাম,জাহিদ হোসেন বাদশাসহ অনেকে।
জানা যায় উপজেলায় মোট ২১টি ওএমএস ডিলার রয়েছে। তাদের ২/১জন ছাড়া বাকী ডিলারদের বিরুদ্ধে কার্ডধারীদের চাল না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনেক কার্ডধারীরা জানেই না চাল কবে দেওয়া হয়। উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, অসহায় বা নিম্ন বিত্ত মানুষদেরকে কার্ড দেবার কথা থাকলেও নাম মাত্র দিয়ে জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের আত্বীয়-স্বজন এবং স্বচ্ছল পরিবারের নামে এমনকি সরকারী চাকুরীজিবীর নামেও রয়েছে চালের কার্ড। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন চাল আত্মসাতের প্রমান পেয়ে শ্রীফলতলা ইউনিয়নের ডিলার সরদার মিজানুর রহমানের ডিলারশীপ বাতিল করেছে। এছাড়া আরো অনেক ডিলারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রশাসনের নজরে এসেছে।
খুলনা-৪ আসনের এমপি আব্দুস সালাম মূশের্দীর নিদের্শে সকল ইউনিয়নে তালিকা বাছাই শুরু হয়েছে। তদন্ত শুরুতেই অনেক ডিলার তাদের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দলের বিভিন্ন নেতাদের কাছে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে। সরকার দলীয় নেতারাই এ ডিলারশীপ পেয়ে সীমাহীন অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সকল অনিয়ম দুর করে প্রকৃত কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করার আহবান জানিয়েছে বঞ্চিত কাডাধারীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আকতার জানান, অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। ১০টাকার কার্ডের চাল নিয়ে অনিয়মের তদন্ত চলছে। অপরাধ প্রমান হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠ পর্যায়ে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষনে রয়েছে।