আবু হোসেন বাবু
————————আমার বাড়ি খুলানা জেলার রপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামে। সবাই একজন বি এন পির কর্মী হিসাবে চেনে। নভেল করোনা ১৯ একটি নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিল। আমি এখন সুস্থ,তবে শরীরটা অনেক দূুর্বল। আরেকটি টেস্ট নেগেটিভ আসলেই হয়ত প্রান ভরে নিশ্বাস নিতে পারতাম।
বিচিত্র এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলাম। সব সময় আমি অসুস্থ। আমার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, প্যানক্রিয়াটাইটিস সহ নানাবিধ রোগে আমি আক্রান্ত। নিয়ম মেনে চলি বিধায় খুব একটা অসুবিধা হয় না। কিন্তু এবার এক অজানা আতংকে কাটালাম কিছু দিন। র্যাব পুলিশ গ্রেফতার করেছে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি কিন্তু এমন পরিস্থিতি দেখিনি।
গত ২রা জুন আমার জ্বর গায়ে ব্যাথা হয়। ৩রা জুন একটু সুস্থ মনে হলে আমি আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কয়রা এলাকায় ত্রান বিতরণ করার জন্য যাই। রাত থেকে আমার প্রচন্ড জ্বর গায়ে ব্যাথা শুরু হয় আমি কাউকে কিছু না বলে আমার মেয়ের মাকে বলি আমার করোনা হইছে তুমি মেয়েকে আলাদা করে দাও আমাকে তোমার ভাইজি( ডাঃ নারগিস সুলতানা) সংগে কথা বলে ট্রিটমেন্টের ব্যবস্হা কর। শুরু হল পুরো কবিরাজি থেকে শুরু করে সব ধরনের চিকিৎসা ।সবাই ফোন করে একগাদা পরামর্শ। যাক যে যা জানে বাদ রাখলাম না কিছুই। তবে আমার সবচেয়ে ইফেক্টিভ মনে হয়েছে মশলা দেওয়া গরম পানির ভাপ এবং গরম পানি, চা এর থেকে ভাল টোটকা করোনার জন্য আর কিছু নেই।
তবে সবার কাছে অনুরোধ উপসর্গ দেখা দিলে টেস্ট পজিটিভ আসার অপেক্ষা না করে মশলা পানির ভাপ, গরম পানি,লেবু চাএই ট্রিটমেন্ট শুরু করা আর যদি শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও অন্য কোন বড় সমস্যা না দেখা যায় হাসপাতাল এভয়েড করা। সু চিকিৎসার কোন ব্যবস্হা সরকার করতে পারিনি। তাই বাঁচার জন্য নিজের মতো করে বাচতে হবে।
যারা খোঁজ খবর নিয়েছেন, ফোনে যোগাযোগ করেছেন,ম্যাসেন্জারে ভালমন্দ জানার চেষ্টা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া চেয়েছেন ছোট ভাই, বড় ভাই, প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু,সবাইকে ধন্যবাদ। মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আল্লাহ যেন শত্রুকেও এই রোগ না দেয়।