শেখ ওবায়েদ হাসান রনি,বাগেরহাট প্রতিনিধি:
————————-
বাগেরহাটের ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে সংস্কারের অভাবে সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে।
রাস্তাটি ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামের বলা হয়ে থাকলেও মূলত আট্টাকী, কাঠালতলা এবং ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামের উপর দিয়েই বয়ে গেছে। এছাড়াও এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে পাইকপাড়া, হোগলডাঙ্গা এবং সিংগাতী এলাকার লোকজন। এই গ্রামে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে। যেখানে কয়েক শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার জন্য একমাত্র রাস্তা হিসেবে এ রাস্তাটিকে ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া এই রাস্তাটিতে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করে থাকে কয়েক শত ছাত্রছাত্রী তারা সাতসৈয়া হাজী আব্দুল হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত।
বর্ষা মৌসুমে সামান্য পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তার কোথাও কোথাও। রাস্তাটি দেখলে বোঝার উপায় নেই কোন এক সময় এটাতে পিচের কার্পেটিং ছিল। প্রায় সকল জায়গাতেই খানাখন্দরে ভরা আর অধিকাংশ জায়গা চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। এই এলাকায় কৃষি পণ্যের উপর নির্ভর করে কয়েক শতাধিক পরিবার। যাদের কৃষি পণ্য বিক্রয়ের জন্য ফকিরহাট বাজারে আনা-নেয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিনিয়ত কৃষক এবং হাটুরেদের চরম দুর্গতি পোহাতে হয়। এই এলাকায় সাতটি মসজিদ এবং কয়েকটি মন্দিরের ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রতিনিয়ত পোহাতে হয় এই দুর্গতি। দেড় যুগ আগে তৈরি হওয়া রাস্তাটি অদ্যাবধি পর্যন্ত কখনোই হয়নি সংস্কারের ব্যবস্থা। অনাদর আর অবহেলায় থাকতে-থাকতে রাস্তাটি এখন চলাচলের সম্পূর্ণভাবে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপকালে তারা স্থানীয় সরকার প্রশাসনকেই দায়ী করেন। তারা বলেন রাস্তাটি পূর্বে কয়েকবার পুনঃসংস্কার এবং নতুন করে প্রশস্ততা বাড়িয়ে তৈরীর টেন্ডার আনলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির বাহুবলে সেটি থমকে যায়। সম্প্রতি কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তাটির অবস্থা আরো বেশি নাজুক হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে কয়েক জায়গা ইট এবং শুড়কি দিয়ে সাময়িক মেরামত করলেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণ এর জন্য চলাচল করা গাড়িতে নষ্ট করে দিয়েছে। বছরের-পর-বছর চলাচলের অনুপোযোগী রাস্তা সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়ে রাস্তার উপর ধান রোপন করে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকার যুবকরা।
বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করার জন্য প্রতিবাদের এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছে এলাকার যুবকরা।