খুলনার পল্লীতে যৌতুকের দাবিতে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগে অবেশেষে মামলাটি রুজু হলো দিঘলিয়া থানায়।
গত ফাল্গুনে বটিয়াঘাটার একটি মেয়ের বিয়ে হয় দিঘলিয়ার বারাকপুর গ্রামের বাবুল দাসের সাথে। বলতে গেলে হাতের মেহেদীর রং মুছার আগেই যৌতুকের দাবীতে নববধূর জীবনে নেমে আসে নরকের নির্যাতন। ২মে ২০২০ দিবাগত রাতে তাকে কৌশলে বিষাক্ত ঔষুধ খাওয়ানো হয়। ঘুমে আচ্ছন্ন অচেতন অবস্হায় তার স্তন, তলপেট ও যৌনাঙ্গে মশারকয়েলের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়। তারপর পিতা মাতার সহায়তায় উদ্ধার হয়ে মেয়েটি ওসিসিতে চিককিৎসা নিয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলা করতে যায়। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে ৫জুলাই দিঘলিয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। দিঘলিয়া থানার মামলা নং-২ তারিখ-৫/৭/২০২০। ধারা -নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইন -২০০০(সংশোধন২০০৩) এর ১১/খ।
যাদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় মামলাটি থানায় রুজু করা হয় তারা হলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন,খুলনা অফিসে কর্মরত সহকারী পরিচালক জেসমিন সুলতানা,দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মারুফ উল ইসলাম, দিঘলিয়া ইউপি মোঃ ফিরোজ মোল্লা।
উল্লেখ্য, খুলনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিস বা তাদের কর্মকান্ড রয়েছে।এখন থেকে নির্যাতিত অসহায় মানুষ কমিশনের সেবা পাবে। অধিকার বঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা খুলনা অফিসে (সোসাইটি সিনেমা হলের সামনে গফ্ফার টাওয়ার) যোগাযোগ করতে পারেন।