অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) মো. শহীদ ইসলাম পাপুলের কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।
সংবাদমাধ্যম আরব টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমপি শহীদ ও তার সংস্থা মানব পাচার, ভিসা বিক্রয় ও অর্থ পাচার সম্পর্কিত মামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করা হয়েছে।
আরব টাইমসের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাংক হিসাবগুলোতে এমপি পাপুলের কোম্পানির মূলধন ৩০ লাখসহ মোট ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার জমা রয়েছে। যার পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা।
কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনের বরাত দিয়ে আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন ওই অর্থ যাতে তোলা বা স্থানান্তর করা না যায় এবং আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেগুলো যেন বাজেয়াপ্ত করা যায়, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানবপাচার, অর্থপাচার ও কর্মী শোষণের অভিযোগে গত ৬ জুন শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। পরে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত মূর্তজা মামুনকেও আটক করা হয়। এদিকে এমপি শহীদরে বিরুদ্ধে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনের কাছে ১২ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক সাক্ষ্য দিয়েছেন।
জানা গেছে, পাপুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে কর্মী নিয়োগ, রেসিডেন্সি আইনের লঙ্ঘন ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে। দেশটির তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তি আর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অভিযোগ আনা হবে।
সন্দেহভাজন ওই অর্থ যাতে তোলা বা স্থানান্তর করা না যায় এবং আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেগুলো যেন বাজেয়াপ্ত করা যায়, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন