খুলনার রূপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়কের রূপসা উপজেলার সুতালের বটতলার সন্নিকটে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা ডেবে ও ফাটল ধরাই এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে।
রাস্তায় বড় গর্ত তৈরি হওযায় সড়কটি চলাচলের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। তাছাড়া সড়কটির এক পাশে ফাটল ধরেছে। এই সড়কদিয়ে চলাচল করা অনেকেই বলছেন, রাস্তাটি দূত সময়ের মধ্যে সংস্কার না করা হলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে৷ স্থানীয় আবদুল হালিম জানান, রাস্তাটি তৈরির পর থেকেই স্থানটি বসে যেতে শুরু করে। পরে অনেকটা বসে যায়। এরপর থেকে ঘটতে শুরু করে দূর্ঘটনা। আমি নিজেও ৪/৫ টি দূর্ঘটনা দেখেছি৷
এখানে স্থানীয়ভাবে সড়কটির মাঝখানে লাল ফ্লাগ পুতে দেওয়ার পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরবর্তীতে সড়কটি কোন রকম মেরামত করা হয়। এরপর সেই স্থানটি পূর্বের অবস্থায় পরিনত হয়েছে। ভ্যান চালক রাসেল শেখ জানান, রাস্তাদিয়ে রাতের বেলায় এই ডেবে যাওয়া জায়গা দিয়ে চলাচল করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। আমি নিজেও ভ্যান নিয়ে উল্টে পড়েছি। ট্রাক চালক আলিফ শেখ বলেন, এই ডেবে যাওয়া জায়গাটি বর্তমানে এতটায় ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন দিন বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুল জানান, রাস্তাটির ডেবে যাওয়া স্থানের তলে হচ্ছে ঝোপ মাটি। যার কারনে যতই মজবুত করে করা হোক না কেন; সড়কটি ডেবে যায়। বসে গেলে কর্তৃপক্ষ খোয়া ফেলে রাস্তাটি উঁচু করে দেয়৷ রাস্তাটি ডেবে এক পাশে ফাটল ধরেছে এমন প্রশ্নের? জবাবে তিনি বলেন, ওই খানে খোয়া ফেলে উচু করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
রূপসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা বলেন, ডেবে যাওয়া জায়গাটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। অতি সত্বর সড়কটি মেরামত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, সড়কটি আমরা দেখেছি। ঈদের আগে চলাচলের জন্য কিছুটা মেরামত করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা জায়গাটি ঠিক করে দিবো। তিনি আরও বলেন, দুই পাশ থেকে খাল যাওয়াতে রাস্তাটি ধসে গেছে। যখন খাল কাটে তখন রাস্তার শ্লোপ তারা নষ্ট করে ফেলেছে৷ যার কারনে মাটি ধসে যাচ্ছে। এর ফলে রাস্তাটি বসে যাচ্ছে। এখন আমরা যা-ই করি থাকবেনা। নিয়ম মেনে তারপর ডেবে যাওয়া জায়গায় আমাদের কিছু করতে হবে। রাস্তাটির একপাশে ফাটল ধরেছে এমন প্রশ্নের? জবাবে তিনি বলেন, রাস্তার মাটি সরে যাচ্ছে। যার কারনে সেখানে ফাটল ধরেছে। খালের দু’পাশের পানি যাওয়া আসা করতে পারে না। পানির চাপটাও একটা সমস্যা। ওইখানে একটা কালভাট করে দেওয়া হবে। ৪-৫ মাসের ভিতর কাজটি শুরু হবে। চলাচল করতে যাতে সমস্যা না হয়। সে জন্য রাস্তাটি ২-১ মাসের ভিতর সংস্কার করা হবে।