আব্দুল আউয়াল,ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম সাতশৈয়ায় রাস্তাার দুরাবস্থায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পিচের রাস্তায় কাদাজলের চলাচলে বিরাট বেকায়দায় পড়েছে কয়েক গ্রামের মানুষ। কয়েক হাজার মানুষের একান্ত প্রয়োজনীয় রাস্তাটির আশু সংস্কার এখন বিশেষ জরুরী হয়েও দেখা দিয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতশৈয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে পাগলা দেয়াপাড়া গ্রাম অভিমুখী দুই কিলোমিটারের মত পাকা রাস্তা দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষের রাতদিনের চলাচল। হাট-বাজার কেন্দ্রিক পন্য পরিবহন, এলাকার গণমানুষের নিত্য চলাচলতির বাইরেও রাস্তাাটির ‘বিশেষ প্রয়োজনীয়তা’ সবসময়ই বিদ্যমান। গ্রামের মধ্যভাগ থেকে এই রাস্তার একটি অংশ গিয়ে মিশেছে জাড়িয়ায়। জাড়িয়া থেমাথা থেকে আবার তার বিস্তৃতি একদিকে সিংগাতী, বালিয়াডাংগা আর অন্যদিকে শাহপুর, পিলজংগ পর্যন্ত। মহাসড়ক না ঘুরে ব্যক্তিগত বা ব্যাবসায়ীক প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যান চলাচল কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অব্দি এ রাস্তা দিয়েই। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ উল্লেখিত গ্রামগুলির গন মানুষের গন চলাচলের রাস্তাটিতে এখন অনেক জায়গায়ই পিচের অস্তিত্ব বিলীন। বর্ষার কাদাজলে একাকার হয়ে চলতে গিয়ে মহাদুর্ভোগে পড়েছে লোকজন। সৎ ভাইয়ের তকমা নিয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা গ্রামীন পাকা সড়কগুলি এমনিতেই থাকে বেশীরভাগ সময় বেহাল দশায়। সেই দশা কাটাতে এলাকাবাসী এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ চায়।
সাতশৈয়া পল্লী মংগল সমিতির অদুরে খান আঃ ওহাবের বাড়ীর সামনে ও পাশের পুকুরপাড়ে রান্তার অবস্থা বর্ননাতীত। যে কোনো সময় ওই রাস্তা পুকুরে গিয়ে মিশে যেতে পারে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী। এদিকে এই রাস্তার শেষাংশ দেয়াপাড়া গ্রামের সম্মুখ দ্বারের সামান্য একটু পথ এখনো পাকাকরণ না হওয়ায় কাচা রাস্তার কাদাজলের চলাচলে চরম কষ্টে আছে ওই এলাকার মানুষ। গ্রামের সাতশিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একমাত্র খেলার মাঠটিও স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই স্কুল মাঠে হাটু পানি জমে আছে। বর্ষাকালের তিন চার মাস এখানে স্কুল ছাত্র ছাত্রীসহ গ্রামের কিশোর তরুনদের খেলাধুলার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত বিষয়ে আশু নজর দিলে তাদের দুর্দশা দুর হবে বলে মনে করেন ওই এলাকার মানুষ।