ডুমুরিয়া(খুলনা) প্রতিনিধিঃখুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার নির্নাণাধীন ১ নম্বর ধামালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জমিতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফা নোটিশ দেয়া হলেও দখলদাররা তাদের দখল সরিয়ে নেয়নি। এদিকে দখলদাররা উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করেছেন মর্মে প্রচার করলেও এর স্বপক্ষে কোন কাগজ পত্র উপজেলা ভূমি অফিসে জমা দেয়নি। অন্যদিকে দখলদারদের দখল বহাল রেখে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে ঠিকাদার, এলজিইডি ও অবৈধ দখলদারদের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ধামালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মানের জন্য দরপত্র আহবান করে। এতে অংশ নিয়ে ঠিকাদার শেখ সওকাত হোসেন ১ কোটি ৩১ লাখ টাকায় কাজটি পান। তিনি চলতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে ভূমি অফিস নির্মান কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ধামালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মূল ভবনের ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সীমানা প্রাচীরের তিনদিকে আংশিক শেষ হলেও পিছনের অংশ এবং পূর্বপাশের অংশে বেশ কয়েকজন অবৈধ ভাবে জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মান করায় সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ করতে পারছেন না কতৃপক্ষ। দখলদারদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা মো: জহুরুল হকের তিনতলা ভবন, দেবু রায়ের পাকা ঘর, দুলালের সার কীটনাশকের দোকান, এম এম আব্দুল লতিফ , মো: সিদ্দীক বাওয়ালীসহ কয়েকজন।
এদিকে দখলদারদে সাথে ঠিকাদার, এলজিইডির সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঠিকাদার যতটুকু কাজ বাকি থাকবে সেটি বাদ রেখেই বিল নিবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মো: জহুরুল হক বলেন, আমরা হাইকোর্টে রীট করেছি। রীট সংক্রান্ত কাগজ দেখাতে বা রীট পিটিশন নম্বর জানতে চাইলে তিনি সেটি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, উপজেলা ভূমি অফিস থেকে প্রথমে দখল ছেড়ে দিতে নোটিশ দিয়েছিল। জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে আবারও নোটিশ দেয়া হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুত কুমার দাশ বলেন, ধামালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসকেই জমি খালি করে দিতে হবে। ভুমি অফিস দখলদার উচ্ছেদ করতে না পারলে যতটুকু কাজ হবে ঠিকাদার ততটুকু কাজের বিল পাবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহি অফিসার ডা: সঞ্জিব দাশ এ বিষয়ে বলেন, অবৈধ দখলদারদের ভবন অপসারন করে নিতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। অবৈধ দখল সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকেও নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হাইকোর্টে রীট পিটিশন করা হয়েছে এমন কোন কাগজ দখলদাররা জমা দেননি। অচিরেই দখল উচ্ছেদ করে সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে।