নিজস্ব প্রতিবেদকঃরূপসা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে সেবার পরিবর্তে মানুষের সংগে অসৌজন্য মূলক আচরন সহ হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশ কার্য্যকর করতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে হয়রানীর শিকার হয়েছে উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের মৃত আব্দুস সোহবান শেখের পুত্র মো. অসিকার রহামান। পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন-যাপন করর্ছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে বাগমারা মৌজায় সিএস ৪৬ খতিয়ান, এসএ ৭৭ খতিয়ানে ১৭ শতক জমির উপর পিতার আমল থেকে ঘরবাড়ি নির্মান করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে অসিকার। ভূমিটি নালিশী হওয়ায় ও বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় তার একমাত্র ঘরটি মেরামতের জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। তা থাকা সত্বেও একই গ্রামের মৃত আঃ সামাদ গাজীর পুত্রদ্বয় বাবুল গাজী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মতিয়ার গাজী ২০১৮ সাল থেকে তার ঘর সংস্কারের কাজে বাধা দিয়ে আসছে। তারা উভয়েই অসামাজিক কর্মকান্ডের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত আসামী। তারা প্রতিনিয়ত অসিকারের পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করছে। এ অবস্থায় অসিকার অসহায় হইয়া জান-মাল ও ঈজ্জত হারানোর আশংকায় গত ৪ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আইনী সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করে।
প্রাপ্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করে আবেদনটি থানা পুলিশের কাছে ফরোয়ার্ড করেন। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এসআই সাহাবুদ্দিন কে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদীর বর্তমান অবস্থা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারনে তিনি অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের কাছ থেকেও একটি অভিযোগ গ্রহন করেন। এরপর শুরু করেন শালিস করার তাল-বাহানা। উভয় পক্ষকে তাদের জমির কাগজ-পত্র নিয়ে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের রায় কার্য্যকর না করে তিনি নিজেই আদালতের ভূমিকায় অবতীর্ন হন।
এঅবস্থায় ভুক্তভোগী অসিকার আবেদনের কপি নিয়ে গত ১৬ নভেম্বর সকালে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা জাকির হোসেনের স্মরনাপন্ন হয়। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই সাহাবুদ্দিনের কাছে জানতে চান তিনি আদালতের রায় পড়েছেন কিনা। জবাবে সাহাবুদ্দিন জানান তিনি ইংরেজী পড়তে পারেন না। এটা শুনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিনকে ধমক দিয়ে বলেন পড়তে পারেননি তো আমার কাছে জাননি কেনো। এসআই সাহাবুদ্দিন নিজের ভুল স্বীকার করেন। এসময় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে নিজ নিজ উকিল সহ ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় থানায় হাজির থাকার জন্য এসআই সাহাবুদ্দিনকে নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক দরিদ্র অসিকার অর্থ খরচ করে উকিল নিয়ে নির্ধারিত সময়ে থানায় হাজির হয়। তাকে ২/৩ ঘন্টা থানার বায়রে বসিয়ে রেখে এসআই সাহাবুদ্দিন বলে ওসিকে কিছু দাওনি বলে তিনি আসবেন না। এই হচ্ছে রূপসা থানায় সেবার বর্তমান চাল-চিত্র।
অভিযোগ রয়েছে থানায় কেউ মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে তাকে অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষ অবলম্বন করে অভিযোগকারীকে করা হয় নানাভাবে হয়রানী। প্রতিদিন থানার বায়রে চায়ের দোকানে পুলিশকে একাধিক শালিস করতে দেখা যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা পুলিশের কর্তা ব্যাক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।