নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেই নির্যাতকদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতকের কোন ক্ষমা নেই। নির্যাতক যে-ই হোক না কেন সবাই মিলে তাকে প্রতিহত করতে হবে। পাইকগাছায় মাদ্রাসার সুপার কর্তৃক নাবালিকা ধর্ষণের বিরুদ্ধে আজ যেমন উপজেলাবাসী সোচ্চার তেমনি অন্য সব নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রেও সচেতন মানুষকে প্রয়োজনে পথে নেমে আসতে হবে। সবাই এগিয়ে এলে দেশকে নারী নির্যাতন মুক্ত করা সম্ভব।
রোববার সকালে পাইকগাছা উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে রূপান্তর-এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ও পক্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউএসএইড, ইউকেএইড-এর সহায়তায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের টেকনিক্যাল সহায়তায় অনুষ্ঠিত এ সভায় পাইকগাছা নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ প্লাটফর্ম-এর সদস্যবৃন্দসহ এ সভায় অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্লাটফর্মের আহবায়ক এবং পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও মানব বন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন পাইকগাছা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আশালতা খাতুন, প্লাটফর্মের যুগ্ম-আহবায়ক পাইকগাছা পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, আব্দুল আজিজ, সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম কচি প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে পাইকগাছা বাজারে এক মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দ আইনজীবী, তৃণমূল পর্যায়ে নারী নেত্রীবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে এই মানব বন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
পরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জনসচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এ ছাড়া নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের জরুরী হটলাইন-এর তথ্য সম্বলিত দু’টি প্রচার বোর্ড স্থাপন করা হয় পাইকগাছা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।