ডুমুরিয়া(খুলনা) সংবাদদাতাঃ মোঃ শাহজান আলী গাজী (৪৬)। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। স্ত্রী,দুই শিশু পুত্র,এক কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা নদীর পাড়ে ওয়াপদার রাস্তার পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে। বছরের কয়েকটি মাস চলে তার পরিবারের ইট ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বাকি সময়টা কাজের কোন নিশ্চয়তা থাকে না। সংসারে একমাত্র আয়ক্ষম ব্যক্তি হিসেবে শাহজানের তিন শিশু সন্তান,রুগ্ন স্ত্রীকে নিয়ে জীবন কাঁটে নিদারুন দুঃখ-কষ্ট,অভাব-অনাটনে।নিজের কোন জায়গা জমি নেই।তাই সরকারি ওয়াপদার রাস্তার পাশে একটি ঝুঁপড়ি ঘর বেঁধে স্ত্রী,সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও তাদের দেখার যেন কেউ নেই !
সরকার গরীব অসহায় মানুষের জন্যে অন্ন,বস্ত্র, বাসস্হানের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্হা করলেও শাহজানের পরিবার সেই সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত।
বুধবার(২৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে যেয়ে কথা হয় শাহজান আলী ও তার পরিবারের সাথে। তিনি জানান, প্রায় এক যুগ পূর্বে উপজেলার চাকুন্দিয়া গ্রামে তার পৈত্রিক নিবাস ছিলো।কিন্ত অভাবের তাড়নায় তা বিক্রি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে আসেন বরাতিয়া এলাকায়। সরকারি ওয়াপদার রাস্তার পাশে একটি ঝুপড়ি ঘর বেঁধে কোন রকমে তাদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তিনি আরো জানান, এই পর্যন্ত তিনি কোন সরকারি সহয়তা তার পরিবার পায়নি। সরকারি ভাবে একটু জমি ও একখান ঘর এবং তার শিশু সন্তানদের লেখা পড়া করানোর সুযোগের ব্যবস্হা যেন তার পরিবার পায় সেই দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার বলেন, আমি গত সপ্তাহ খানেক আগে এই পরিবারটি সম্পর্কে জেনেছি। তার পরিবারকে একটি সরকারি ঘরসহ অন্যান সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমার জোর প্রচেষ্টা থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, আজ(বুধবার) আমি ওই এলাকায় যেয়ে পরিবারটি বিষয়ে শুনেছি। আমি শাহজান আলী ও তার স্ত্রীর একটি যৌথ ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি আমার দপ্তরে জমা দিতে বলেছি। কাগজ পত্র পেলে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।