পাইকগাছা প্রতিনিধিঃপাইকগাছায় জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মারাত্বক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩ জন।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দক্ষিন সলুয়া গ্রামে। মারামারির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা পাইকগাছা কোর্টে এজাহার জমা দিয়েছেন।
মামলার বিবরনে জানাযায়, উপজেলা দক্ষিন সলুয়া গ্রামের কেদার প্ররামানিক সি এস ৬৭৬ খতিয়ানের ১৮৪ দাগে ৩৯ শতক জমির মালিক হন। তার পুত্র বুধর পরামানিক এস এ ৮৭৭ খতিয়ানে ১৮৪ দাগে দু’পুত্র রাম ও লক্ষনের নামে ২০+২০ রেকর্ড হয়। লক্ষনের কোন সন্তান না থাকায় তার মৃত্যু অন্তে সমস্ত জমির মালিক হন তার ভাই রাম। বি আর এস ১১০খতিয়ানে ২৮৭ দাগে রামের তিন পুত্র দিলিপ, গোপি,বিকাশ ও কন্যা বন্দনার নামে ১৩ শতক, বি আর এস ৪৯৫ খতিয়ানে ২৮৫ দাগে ১৩ শতক এবং বি আর এস ১০৩৯ খতিয়ানে ২৮৬ দাগে ১৪ শতক জমি চুড়ান্ত রেকর্ড হয়। এমনকি ১৪২৬ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেছে এবং উক্ত জমির খারিজ খতিয়ান করেছেন যার নাং ১৫০৯।
উক্ত জমিজমা থেকে কাশেম আলী ৩ শতক ক্রয় করেন এবং বাকি জমি তিন ভাই বোন বন্ধনার নামে দান করেন। মোট ৪০ শতক জমির মধ্যো হতে বন্ধনা ও কাশেম মিলে ২৫.২৪ শতক জমি ভোগ দখল করেন। বাকি ১৪.২৬ শতক জমি আরেক শরিক বন্দনার চাচাতো ভাই আনন্দ বিশ্বাস ও জ্যোতিষ বিশ্বাস গং জোর পূর্বক দখল করে আসছে। ফলে উভয়ের মধ্যে গলোযোগ চলতে থাকে। ফলে গত ১৯ ডিসেম্বর আনন্দ গংদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে। জিডির প্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বর উভয় পক্ষকে ডেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসের নির্দেশনা দেন পুলিশ প্রশাসন।
তার একদিন পর ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে আনন্দ/ জ্যোতিষ গং বন্ধনা বিশ্বাসের বাড়িতে এসে ঘেরা-বেড়া, গোলের ঘর ভেঙ্গে আসবাবপত্র নষ্ট করে এবং বাড়ির মহিলা শান্তি বিশ্বাস, অশোকা বিশ্বাস, সুবর্ণা বিশ্বাস বেদম মারপিট করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতরা পাইকগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধী আছেন। সুবর্ণা বিশ্বাসের অবস্থা আসঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। মারামারির ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর বন্ধনা বিশ্বাস বাদী হয়ে পাইকগাছা কোর্টে এজাহার জমা দিয়েছেন বলে জানাগেছে।