নিজস্ব প্রতিবেদকঃখুলনার রূপসায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দ উল্লাসের ভিতর দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত নৌকা-মাঝি সংঘের(গভঃরেজিঃ২৬৮) ত্রিবার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় মুখোরিত পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ঘাট এলাকা।
আগামী ৩১ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। মোট ৯ পদে ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদন্দীতা করবে। তার মধ্যে সভাপতি পদে ৩জন প্রার্থীরা হলেন- রেজা ব্যাপারী, হায়দার মাতব্বর ও মোয়াজ্জেম মাতব্বর। সহ-সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থীরা হলেন হালিম চৌকিদার, আইয়ুব আলী ফকির ও মোস্তফা জমাদ্দার। সাধারণ সম্পাদক পদে ৩জন প্রার্থীরা হলেন হারেজ হাওলাদার, সাহাদত ব্যাপারী ও আলী শিকদার। জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে ৪ জন প্রার্থীরা হলেন খোকন শেখ,ইউনুস শেখ, সাহাদত মুন্সি ও শেরজান ব্যাপারী। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪জন প্রার্থীরা হলেন রোকন হাওলাদার, ফয়জর আলী, ইব্রাহীম ঘরামী ও বসির শিকদার। কোষাধ্যক্ষ পদে ৪ জন প্রার্থীরা হলেন ফজলু মাতব্বর, দবির ব্যাপারী, ইব্রাহীম ঘরামী ও নুরুল ইসলাম। প্রচার সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থীরা হলেন আমীর হোসেন ও মোহাব্বত ব্যাপারী। দুটি সদস্য পদে ৬ জন প্রার্থীরা হলেন শামীম ব্যাপারী, শুকুর হাওলাদার, শহিদুল শিকদার, রেজাউল শেখ, মিন্টু শেখ ও কামরুল ঘরামী।
ভোটার রয়েছে ১৭৫ জন। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের স্বজনরা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে রূপসায়। চলছে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ভোট প্রার্থনা। নিজেদের প্রার্থীকে জেতাতে শুরু হয়েছে নানা কৌশল। কোরান শপথ থেকে শুরু করে নানা রকম লেনদেনের বিষয়টি খুব গোপনে সংঘটিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে কোনো কোনো প্রার্থীর ভোট না থাকায় মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিভিন্ন নেতাদের দরজায় ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছে। গত নির্বাচনে অনেকেই নেতাদের টাকা দিয়ে নির্বাচিত হতে নাপেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। সাংবাদিকদের চাপের মুখে অনেক নেতাই সেদিন নতি স্বীকার করেছিল।
প্রত্যেকটা প্রার্থীর রয়েছে আলাদা আলাদা অফিস। রয়েছে প্যানা পোষ্টার হ্যান্ডবিল। এছাড়াও মাইকে চলছে প্রচার-প্রচারণা। গতকাল সন্ধায় মাঝিপাড়া ঘুরে দেখা যায় এমন সব চিত্র জানা যায় অনেক অজানা তথ্য।
জানা যায় মাঝিদের এই নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতারাও খবরদারী করছেন। অনেকেই বলছেন করোনার দ্বিতীয় ধাপে প্রশাসনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে এমন উৎসব মূখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সামিল।