ঘটনার সুত্রে জানা যায় সেনহাটি কাটানি পাড়া এলাকার আকরাম হোসেন মিস্ত্রি এর সদ্য বিবাহিতা কন্যা ফারজানা মিম বেলে ঘাট থেকে পায়ে হেটে বাড়ি যাচ্ছিল, পথিমধ্যে স্থানীয় বখাটে যুবক ডালিম ও তার সঙ্গীরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী মৎস্য ঘের এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ শেষে ফারজানা মিম কে তার বাড়িতে পৌছে দিয়ে ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। পরে ফারজানা মিম বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বললে তাৎক্ষনিক গতকাল রাতে ভিকটিমকে দিঘলিয়া থানায় হাজির করা হয়। গতকাল রাত দশটা পর্যন্ত ভিকটিম ফারজানা মিম ঘটনার বৃত্তান্ত দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহসানউল্লাহ চৌধুরী এর নিকট বললে একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে রাতেই আসামী ডালিম সরদার কে আটক করতে অভিযান পরিচালনা করে।
৩০ শে ডিসেম্বর ধর্ষিতার মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্থানীয় মির্জা মেম্বর এর পুত্র ডালিম সরদার (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দিঘলিয়া থানার মামলা নং ৯।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ আসামী ডালিম কে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য গত ১২ ই ডিসেম্বর পার্শ্ববর্তী বাতিভিটা এলাকায় সদ্য বিবাহিতা তরুণী শ্রাবণী আক্তার (১৮) কে তার বাড়িওয়ালা নুরু মোড়ল (৪৫) তার ঘরে ঢুকে মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রথম ঘটনার ১৭ দিনের মাথায় এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আবারো ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটলো৷
১৭ দিনের মাথায় দুইটি ধর্ষণ কান্ড ঘটার প্রতিবাদে সামাজিক সংগঠন আলোর মিছিল ৩০শে ডিসেম্বর বিকাল তিনটায় দিঘলিয়া উপজেলা চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন আইনের কঠোর প্রয়োগ বাস্তবায়ন না হওয়ায় ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে এবং প্রথম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আলোর মিছিল এর উপদেষ্টা জি এম আকরাম, সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, শেখ রবিউল ইসলাম রাজিব, আব্দুল্লাহ চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম মোড়ল, কিশোর কুমার দে, হাসিবুর রহমান, মহিউদ্দিন পারভেজ, সালাউদ্দিন বাবু, আসমা হোসেন, সাদিয়া সিদ্দিকা পাপড়ি, রাসেল কবির, রাজিবুল রেজোয়ান, রেদোয়ান আহমেদ হামিম, ফিরোজ শেখ প্রমুখ।