নিজস্ব প্রতিবেদকঃমানবতার মা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন দেশে একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবেনা। তার দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে খুলনার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। যাদের জমিও নেই ঘরও নেই এমন পরিবারগুলোকে দুই শতাংশ খাস জমির ওপর সরকারি খরচে দুই কক্ষের আধাপাকা আশ্রয় তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় প্রথম দফায় ৯২২টি পরিবারের জন্যঘর নির্মানের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
যারমধ্যে রূপসায় ৭২, তেরখাদায় ৪০, দিঘলিয়ায় ৭০, ফুলতলায় ৪০, ডুমুরিয়ায় ১৪০, বটিয়াঘাটায় ১৫০, দাকোপে ১৪০, পাইকগাছায় ২২০ এবং কয়রায় ৫০টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া যায়। তারমধ্যে থাকছে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুইটি কক্ষের বাড়ি। আরও থাকছে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। বাকিদের পর্যায়ক্রমে ঘর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সে হিসেবে ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে প্রথম দফার কাজে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে এ নির্মাণকাজ বলেন তিনি। ঘরগুলো যাতে টেকসই এবং মানসম্মত হয় সেজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং কমিটি নিয়মিত তদারকি করছেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে রূপসা উপজেলায় ঘর তৈরি কার্যক্রম পরিদর্শন এবং সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খুলনা জেলার ডিসি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, গৃহহীন মানুষগুলো প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য একটি করে ঘর পাচ্ছেন, এটাই মুজিববর্ষের সেরা উপহার।
রূপসা উপজেলায় ৭২টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৩৫টি ঘর তৈরির কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার।
এসব পরিবার বাছাই প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান জানান, জেলার নয়টি উপজেলা থেকে ইউপি চেয়ারম্যানরা ছিন্নমূল ও ভূমিহীন পরিবারের তালিকা পাঠান। সেসব তথ্য স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে যাচাই করে ৫ হাজার ৮৮টি পরিবারের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।