নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দৌলতপুর বীণাপানি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অঙ্কিতা দে হত্যাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে, ওই সন্ধ্যায় ছাদে প্রথমে তাকে ধর্ষণ ও পরে জুতার ফিতা, নাইলন ও জালের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ একটি প্লাষ্টিকের বস্তাতে ভরে সিড়ি ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। সিড়ি ঘরের ওই স্থান ও ছাদের একাধিক স্থানে রক্তের দাগ, ভেজা কাপড় ও বেশ কিছু আলমত দেখে পুলিশ তা নিশ্চিত করেছে। পুলিশের তদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুইজনের সম্পৃক্তার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।
ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ভবনের মালিক প্রীতম ও বাড়ির কেয়ারটেকার শ্যামল।
উল্লেখ্য খুলনায় নিখোঁজের ছয়দিন পর ভবনের বাথরুমের ভিতর থেকে অঙ্কিতা দে ছোয়ার (৮) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে মহানগরীর দৌলতপুর পাবলা বনিকপাড়া কালী মন্দিরের পাশে বীণাপানি ভবনের নিচতলা বাথরুমের ভিতর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। সে দৌলতপুর পাবলা বনিকপাড়া এলাকার সুশান্ত দে’র কন্যা।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে দৌলতপুর থানার পাবলা বণিক পাড়ার মৌচাক টাউয়ারের সামনে থেকে অঙ্কিতা দে ছোয়া হারিয়ে যায়। এসময় তার পরনে ছিল গোলাপি রঙের সোয়েটার। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পোস্ট দেওয়া হয়। তবে তার কোন সন্ধান মেলেনি। অবশেষে ২৮ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বাথরুম থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ মিললো।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) অঙ্কিতা দে ছোয়া নামের এক শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি এবং পরবর্তীতে অপহরণ মামলাও করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুপুর ২ টার দিকে দৌলতপুর পাবলা বনিকপাড়া কালী মন্দিরের পাশে বীণাপানি ভবনের নিচতলার বাথরুমের ভিতর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।