ডুমুরিয়া(খুলনা) সংবাদদাতাঃ ডুমুরিয়ার মাগুরাঘোনা এলাকায় সরকারি রাস্তার গাছ কাটার হিড়ক চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্হা না নেয়ার
কারণে গাছ কেঁটে সাবাড় করে দিচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।
এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন, স্থানীয সাধারণ মানুষ। ফলে একদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে অপর দিকে বন উজাড়ের কারণে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। আর রাতারাতি কাঁটা ওই গাছের গুড়ি গুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অন্যাত্রে। বুধবার উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের মাগুরাঘোনা গ্রামের হিয়ারিং বোন রাস্তার পাশ থেকে ৩টি বড় শিরিশ গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থায়ীয় সুত্রে জানাগেছে,মাগুরাঘোনা গ্রামের মৃত, রওশন মোড়লের ছেলে রবিউল ইসলাম মোড়ল @ বুড়ো তার বাড়ির অদুরে সরকারি রাস্তার পাশ থেকে বড়-ছোট ৩ টি শিশির গাছ বিক্রি করেন, ১৪ হাজার টাকা। চুকনগর বাজারের জনৈক এক কাঠ ব্যাবসায়ি উক্ত গাছগুলো খরিদ করেন। এক পর্যায়ে গাছ গুলো বুধবার সকালে কাঁটা কাটি করতে থাকে কয়েক জন শ্রমিক।
এমন অভিযোগ জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে স্থানীয় বয়ার সিং তহসিল অফিসের পক্ষে অফিস সহায়ক রেজাউল করিম মন্টু এবং মাগুরাঘোনা বিট পুলিশের কর্মকর্তা ঘটনা গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়ে কর্তনকৃত গাছ গুলো হেফাজতে নেন।
উল্লেখ্য ২ মাস অতিবাহিত হল আটলিয়া ইউনিয়নের চাকুন্দিয়া গ্রামের অছিম হালদার নামের এক যুবক রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি কালে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) নির্দেশে সাময়িক ভাবে গাছ কাটা বন্ধ রাখলেও পরবর্তিতে তা রাতারাতি সরিয়ে নেয়া হয়।
এ প্রসংঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জমি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করা হবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।