নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকুরী রাজস্ব করণ এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রতাহারের দাবীতে ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকল বিভাগ একযোগে কর্মসূচি পালন করে৷
চাকুরী রাজস্বকরন বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে বাংলাদেশের ১০৩ টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এই কর্মসূচি পালন করে।
সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীন দেশের ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে ১২০০জনবল সরকারি সকল নিয়োগ বিধি মেনে তারা নিয়োগ পেয়েছেন। ২০১০ সাল থেকে তারা দেশের প্রায় ১৮ লক্ষ প্রতিবন্ধী মানুষের সেবক হয়ে কাজ করে আসছেন । এই সকল জনবল প্রধানমন্ত্রীর অগ্রধিকার প্রকল্পে নিয়োজিত।
সারা দেশের সকল বিভাগের ন্যায় খুলনা বিভাগেও এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিভাগে কর্মকর্তা সামীম হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন, কর্মকর্তা কায়কোবাদ আকুঞ্জী,অন্যান্ন বক্তরা হলেন তুলসী কুমার পাল, বাবলুর রহমান, ডাঃ সংগ্রাম কুন্ড,ডাঃ সাফিয়া খাতুন,ডাঃ মাসুূদুর রহমান,ডাঃ হাসান আলী,আরিফুল হাসান,রবিউল ইসলাম, সাদেকুর রহমান,মোতাহের হোসেন, আরিফুর রহমান,রানা,মালেক প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তরা বলেন আমাদের এক দফা এক দাবী চাকরি রাজস্ব করণ। প্রধানমন্ত্রীর সু দৃষ্টি অনগ্রসর প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য। এই প্রকল্পের জনবলের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বারবার চিঠির মধ্যে জানতে চায়, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কাছে। ফাউন্ডেশন সন্তোষজনক বক্তব্য না দেওয়ায় চাকরি রাজস্ব করণ বিলম্বিত হচ্ছে এমন দাবি করছেন বক্তরা। এটা আমাদের অধিকার কিন্তু যখনি আমাদের অধিকারের কথা বলার চেষ্টা করি তখন ফাউন্ডেশনের কিছু কর্মকর্তা আমাদের নোটিশ, কারণ দশানো, বদলীর হুমকি ও বিভাগীয় মামলা দিয়ে থাকেন। আমাদের ২ জন সহকর্মীকে বিভাগীয় মামলা ও দিয়েছেন। আমাদের ন্যায্য দাবি চাকরি রাজস্ব করণ ও ২ সহকর্মীর বিভাগীয় মামলা প্রতাহার করতে হবে নতুবা চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলতে থাকবে।
আরো বলেন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রটি স্থানীয়ভাবে সুনামের সঙ্গে প্রতিবন্ধী হাসপাতাল নামে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু এসব জায়গায় চাকুরী করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশিরভাগই মানবেতর জীবন যাপন করছে। এজন্য তাদেরকে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের যেকোন দপ্তরে অন্তর্ভূক্ত করে চাকুরী রাজস্বকরনের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয় সম্মেলন থেকে।