আজকের তারিখ: বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০১:৩০ রাত | ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিআইডি কর্মকর্তা আসাদ অপপ্রচারের শিকার, অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ। তিনি বর্তমানে ঢাকা মালিবাগ সিআইডিতে কর্মরত রয়েছেন। এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন বাগেরহাটে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার একটি বক্তব্য এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। এমনকি তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে নানা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।


বাগেরহাটে দায়িত্ব পালন করার সময় ৪ আগষ্ট গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করার সময় হামলার শিকার হন কয়েকজন। হামলাকারী আওয়ামী লীগ কর্মীরা এদের মধ্যে একজনের মোবাইল ভেঙে দেয়। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ওই সড়ক দিয়ে গাড়ি করে যাওয়া আসাদুজ্জামানকে থামিয়ে হামলার বর্ণনা দেন। পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান তখন তাদের শান্ত করেন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন ‘যারা লাঠি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা করেছে তারা দুষ্কৃতকারী। যার আসল ভিডিও সহ সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। ওই সময়ের সব উপস্থিত সাংবাদিক এখনও অবগত।


কিন্তু এটি এডিট করে একটি অংশ ফেলে দিয়ে প্রচার করা হয়েছে তিনি ছাত্রদের দুষ্কৃতকারী বলেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভিডিওতে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামানের পৈতৃক বাড়িতে বিলাসবহুল অট্টালিকা রয়েছে। অথচ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যশোরের মনিরামপুরে তার পৈতৃক সম্পত্তিতে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘর রয়েছে। যেটির মালিক তারা তিন ভাইবোন। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, ঢাকায় তিনি চারটি ফ্ল্যাটের মালিক। অথচ ঢাকায় কোথাও তার কোনো ফ্ল্যাটই নেই বলে তিনি জানান। ভিডিওতে বলা হয়েছে আসাদুজ্জামান আওয়ামী লীগ নেতা শেখ তন্ময়ের বাল্যবন্ধু। যে কারণে তাকে বাগেরহাটে বদলি করা হয়। এ দাবির কোনো সত্যতা মেলেনি। আসাদুজ্জামান কখনোই তন্ময়ের বন্ধু ছিলেন না। আসাদুজ্জামান যশোর এম এম কলেজ থেকে ইংলিশে মাস্টার্স করার পর যশোর জিলা স্কুলে ইংরেজিতে শিক্ষকতা করেন। পরে পুলিশে যোগদান করেন। তার পরিবারের লোকজন বিএনপি’র রাজনীতি করেন এমন অজুহাতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে বিভিন্ন দূরবর্তী নন-অপারেশনাল ইউনিটে বদলি করা হয়। কিন্তু দুখের বিষয় এব্যাপারে ভুক্তভোগী অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ বলেন, ইতিপূর্বে আগস্ট মাসের শেষ দিকে আমার নাম এবং ছবি ব্যবহার করে অপপ্রচার মূলক একটি ভিডিও পোস্ট নজরে আসলে সে বিষয়ে বাগেরহাট সদর থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানাই। সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওটি পূর্ববর্তী ভিডিওর অনুরূপ এবং হয়রানির অভিন্ন উদ্দেশ্যে তৈরি ও প্রচারিত। সর্বশেষ প্রকাশিত ভিডিও সংক্রান্তে মোহাম্মদপুর থানায় তিনি জিডি করেন। তবে এসব ভিত্তিহীন মনগড়া ঘটনায় অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।

author

Editor

সিআইডি কর্মকর্তা আসাদ অপপ্রচারের শিকার, অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা

Please Login to comment in the post!
adds

you may also like